অবতক খবর,২৮ নভেম্বর: স্বামীর পরকীয়া সম্পর্কের জেরে অবশেষে বাঁশের মুগুর দিয়ে মাথায় মেরে স্বামীকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল দেগঙ্গা চ্যংদানা আমেদ আলি পাড়া এলাকায়। আর এই ঘটনায় শনিবার রাত দুটো নাগাদ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে চ্যংদানা এলাকায়। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল থেকে দেগঙ্গা থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মধ্যমগ্রাম থানার নবাবপুরের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলম শেখ।পেশায়া পশু ব্যবসায়ী রঙ-বেরঙের পাখি একাধিক প্রজাতির হাঁস মুরগি নিয়ে ফার্ম তৈরি করেছিল। এই ছিল তার মূল ব্যবসা। বিবাহসূত্রে এক ছেলে এক মেয়ে ও আছে। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদ আলম শেখ পরকীয়ার সম্পর্ক বেড়েই চলেছিল । বাদুড়িয়া এলাকার একটি মেয়ের সঙ্গে তার স্বামীর পরকীয়ার ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি দেখে ফেলে আর এই নিয়ে দুজনের মধ্যে শুরু হয় বচসা। আর এই নিয়ে দুজনের মধ্যে অশান্তি প্রায়শই বেঁধে থাকতো।

পরিবারের সদস্যরা একাধিকবার তার সমস্যার সমাধান করেছেন। অবশেষে বাড়ি ছেড়ে দেগঙ্গার চ্যাংদানাতে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছিল দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে। পুলিশ সূত্রে জানা যায় এদিন রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা বাঁধে প্রথমে মোহাম্মদ আলম শেখ তার স্ত্রীকে বাঁশের মুগুর দিয়ে মারতে যায়।এরপর তিনি স্ত্রীকে মারধর না করে শুয়ে পড়েন। আর সেই সময় ঘুমন্ত স্বামীর মাথায় বাঁশের মুগুর দিয়ে মেরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত স্ত্রী মুসকান বিবি।

এরপর প্রতিবেশী একজনকে ফোন করে ঘটনাটি জানায়।প্রতিবেশী যুবককে সাথে আবার ঐ বাড়ীতে ফিরে আসে হাসপাতালে ভর্তি করার উদ্দেশ্যে। ততক্ষনে মোহাম্মদ আলম শেখের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় এবং অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করে।আর এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে চ্যংদানা এলাকায়।