যারা আমায় কোনোদিন ভালোবেসেছিল বা এখনো ভালোবাসি বলে মনে করে তাদের প্রতি

মানুষ বলে নববর্ষ। আমি বলি এই দিনটিকে নববর্ষ নয়, শুভ স্পর্শ বর্ষ।মানুষে মানুষে সাদর সম্ভাষণ, সান্নিধ্যের বিশাল আয়োজন এই দিনটির সূচক।

স্পর্শ বর্ষ
তমাল সাহা

চলো আজ বৈকালিক ম্রিয়মাণ রোদে হাঁটি।
আস্তে আস্তে কথা বলি, পা ফেলি গুটিগুটি।
দেখো সময় কীভাবে চলে যায়!
আমরা চলি কোন পরিবেশে, কোন আবহাওয়ায়।

মাথার ওপরে দেখেছো কেমন ছড়িয়ে আছে কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম উল্লাস।
ছড়ানো পাপড়ির ওপর বসেছি অনেক,
কত সহবাস!
মনে পড়ে, সেই সব স্মৃতি!
স্মরণে আসে আরো আরো ধূসর বিস্মৃতি।

রাগ-অভিমান তো আছেই
আরও তো আছে উষ্ণ আদর- স্পর্শ-চুম্বন।
আজ বছরের প্রান্তিক বেলার আগমন—
মনে পড়ে, সেইসব স্বর্ণলিখন!

মনে পড়ে!
প্রতিনিয়ত যাপিত জীবনের কথা।
তবু কি পরাজিত হয়েছিল ভালোবাসা!
মনে তো জেগেছিল কত বিষাদ ব্যথা।

আসলে বিগত চলে যায় কি কখনও!
আকাশ, সূর্য, চন্দ্রমা হয় কি পুরানো?
বৈশাখের আগমন, শাঁখ,মাঙ্গলিক ধ্বনি।
বার বার স্মরণ করায় স্মৃতির সরণি—-
সে এক অপূর্ব, আশ্চর্য, রমণীয় জাগরণী!

বছরের মতো বছর যায়
ভালোবাসা হয় কি পুরানো?
তাতে তো তোমার আমার
স্নিগ্ধ আবেশ জড়ানো।

আবার আসিব ফিরে
রৌদ্রালোকে জ্যোৎস্নার ভিতর
অথবা কালবৈশাখে।
তোমাকে আমার নিকট হতে
কে দূরত্বে রাখে!

নববর্ষ তো নতুন বৈশাখী হাওয়া….
নৈকট্য, সান্নিধ্য–শব্দ দুটিকে
আরও আরও কাছে পাওয়া।

বর্ষশেষ, দিগন্তে সূর্যবেলা যায়,
তোমার মুখ কেঁপে ওঠে রক্তিম আভায়।
উঁকি দিয়েছে চাঁদ—-
হৃদয়ে ছড়ায় উত্তাপ
এ আবার পাতলো কোন্ ফাঁদ!

বেলা যায়, নতুন বর্ষের আগমন।
এসো! এসো! কাছে এসো
নূতনেরে করি আবাহন।

অনেক তো যোগ বিয়োগ হলো,
হিসেবে মেলেনি— জাবেদা খাতা।
এবার সৃজনের পাতায় লিখি
ভালোবাসার হালখাতা।

হাতে হাত রাখো,
দেখো ওষ্ঠ কেমন ছড়ায় উষ্ণতা!
এসো হে বৈশাখ, স্বাগত!
তোমাকে চুম্বন, জড়িয়ে বাহুলতা।