অবতক খবর: পঞ্চায়েত ভোটের ফলপ্রকাশের সাতদিন পরেও ব্যালট পেপার উদ্ধার অব্যাহত। মঙ্গলবারও নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ধার হয়েছে ব্যালট পেপার, ব্য়ালট বাক্স। আর এই উদ্ধার ঘিরে বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন রাজনৈতিক কর্মীরা। যদিও বিষয়টিকে পাত্তা দিতে রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে, ছাপ্পা, রিগিং এবং গণনা কেন্দ্রে ভোট চুরির প্রতিবাদে কলকাতার কলেজ স্কোয়ারে ১৯ জুলাই, বুধবার দুপুর ১টায় বিজেপির মহামিছিলের ডাক দিয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের মাথাভাঙা নদীর ব্রিজের নিচে ভোটের ব্যালট পেপার পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর পথ অবরোধ শুরু করে বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, গণনার দিন বিডিওর নেতৃত্বে ব্যালট পেপার নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই ব্যালট পেপারই উড়ে এসেছে। এনিয়ে কৃষ্ণগঞ্জের বিডিও কামালউদ্দিন আহমেদকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি জানান অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে জয়কৃষ্ণপুর এবিএস বিদ্যাপীঠে ছিল গণনাকেন্দ্র। তার পিছনে পাটের জমিতে প্রচুর ব্যালট পেপার পড়ে থাকতে দেখেন কংগ্রেস কর্মীরা। ৬ নং জেলা পরিষদের কংগ্রেস প্রার্থী আয়েশা জুলেখার নামে ভোট পড়া ব্য়ালট পেপার উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া ওই ব্যালটে দেখা যায় পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের প্রতীকে ভোট পরেছে ব্যালট পেপার। এমনকী, ওই স্কুলের ভিতরে থাকা কস্তুরীবাই বালিকা বিদ্যালয়ের ডাস্টবিন থেকে পোড়া ব্যালট পেপার মেলে।

এরই প্রতিবাদে কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি ইমাম হোসেনের নেতৃত্বে রাস্তা অবরোধ করেন কংগ্রেস কর্মীরা। জাতীয় সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সামশেরগঞ্জ থানার ওসি সুমিত বিশ্বাস। তাঁকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। ঘন্টা খানেক জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সামশেরগঞ্জ ব্লকের জয়েন্ট বিডিও-ও। তিনিও বিক্ষোভের মুখে পড়েন।

মালদহেও বিক্ষোভের ছবি ধরা পরেছে । গাজোল থানার সালাইডাঙা এলাকার এক বুথ থেকে তিনটি ব্যালট বাক্স উদ্ধার হয়েছে। ৮ জুলাই অর্থাৎ ভোটের দিন গাজোল হাজিনাকু মহম্মদ হাইস্কুল ছিল ভোট কেন্দ্র। সেখানে তিনটি ব্যালট বাক্স গায়েব ছিল। এরপরই সেখানে পুনর্নির্বাচন হয়। এদিন সেখান থেকে তিনটি ব্যালট বাক্স উদ্ধার হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, তিনটি ব্যালেট বাক্স উধাও হয়েছিল। পরে যার জন্য পুনর্নির্বাচন হয়। এখন সেগুলি উদ্ধার হয়েছে। বিজেপির জেলা পরিষদের প্রার্থী মিলন দাসের অভিযোগ, ভোটে হার বুঝেই ব্যালট বাক্স উধাও করে দিয়েছিল শাসকদল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।