অবতক খবর,২ অক্টোবর: ফি না দিতে পারলে কোন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা যাবে না, শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
গত বছর পুজোর আগে হাইকোট যে নির্দেশ দিয়েছিল তাকে সামনে রেখে করোনা আবহে যেসকল পরিষেবা থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন, তার জন্য স্কুল গুলি ফি আদায় করতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অন্যদিকে স্কুলগুলির তরফে এই অভিযোগও উঠেছে যে, হাইকোর্টের নির্দেশের সুযোগ নিয়ে অভিভাবকদের অধিকাংশই ফি জমা দিচ্ছে না। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে এদিন যে সমস্ত নথি জমা পড়েছে তা খতিয়ে দেখার পর বেঞ্চ জানান, শিক্ষার্থীদের কাছে স্কুল গুলির বকেয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় কোটি টাকারও বেশি। এরপর স্কুলগুলি জানালেন যে এই অর্থ না পেলে আগামী দিনে স্কুল চালানো যাবে না। এমনকি উৎসবের মরসুমে বেসরকারি স্কুলের কর্মীদের বেতন অথবা বোনাস দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

এই অভিযোগ ছাড়াও আরো অন্যান্য অভিযোগও রয়েছে, তা আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যালোচনা করে দেখবে বেঞ্চ। ‌
এদিন বেঞ্চ বলেছে, স্কুল যত টাকা চাইছে তার সবটাই শিক্ষার্থীদের জমা দিতে হবে। ফি-এর যে অংশ নিয়ে আপত্তি আছে এবং যে অংশ নিয়ে আপত্তি নেই দুটিই আলাদা আলাদাভাবে জমা করতে হবে। পাশাপাশি লিখিতভাবে তা জানাতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে।

আর ফি-এর যে অংশ নিয়ে আপত্তি নেই সেই টাকা স্কুল সরাসরি নিজেদের কাজে লাগাতে পারবে। অন্যদিকে বিতর্কিত খাতের টাকা জমা হবে আলাদা অ্যাকাউন্টে। কিন্তু তারা শর্ত দিয়েছেন, এই দুটি খাতের টাকাই আগামী ২৫ অক্টোবরের মধ্যে জমা করতে হবে শিক্ষার্থীদের।

এর পাশাপাশি বেঞ্চ এও নির্দেশ দিয়েছে, কোন্ স্কুলে কত টাকা জমা পড়ল তা পরবর্তী শুনানির দিন হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। এর পরেও যারা স্কুলে ফি দেয়নি সেই তালিকা এবং তাদের থেকে কত পাওনা তাও সেখানে উল্লেখ করতে হবে। তবে আদালত আগে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তা আপাতত স্থগিত থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত ১৪৫টি বেসরকারি স্কুল এই মামলায় যুক্ত।