অবতক খবর,২৬ জুনঃ আজ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে সৌগত রায় পঞ্চায়েতের ভোটের টিকিট নিয়ে যে বাক্য ব্যবহার করেছেন অধীর চৌধুরী সেই প্রসঙ্গে বললেন যে, এগুলো তৃণমূলের পার্টির অন্দরের ব্যাপার।

তিনি বলেন, তৃণমূলের নেতা কর্মীদের মধ্যে যে ভয়াবহ খোপ তৈরি হয়েছে, তার যে প্রতিফলন প্রতিদিন ঘটছে, কোথাও বিধায়ক নির্দলদের হয়ে প্রচার শুরু করেছেন, তৃণমূল নেতারা এখন বুঝতে পারছেন না কার কথা অনুযায়ী চলবেন মমতা বন্দোপাধ্যায় না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অধীর বলেন গোটা তৃণমূল দল আজ আড়া আড়ি ভাবে বিভক্ত।

একদিকে দিদির লোক একদিকে খোকাবাবুর লোক, এরকম এক জায়গায় যখন টালমাটাল অবস্থা সেই সময় তথাকথিত ভদ্রলোকের চেহারা ওয়ালা সৌগত বাবুকে খোকাবাবু ময়দানে নামিয়েছেন খোকাবাবুর হয়ে কথা বলতে তার পরিবর্তে সৌগত বাবুকে ২৪ এর টিকিট টা দেয়া হবে এই কথা বললে সাংবাদিক বৈঠকে অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কোন কোন জাগায় টাকা দিয়ে বা ভয় দেখিয়ে বিরোধীদের নিজের দলে টেনে আনা হচ্ছে এই প্রসঙ্গে অধীর বলে এইগুলো বেশ কিছু কিছু পর্যায়ে করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

ভোটের নমিনেশন জমা দেয়ার সময় মারধ র, বি ফরম জমা দিতে গিয়ে পুলিশের সামনে ছিনতাই এরপর বাড়িতে হুমকির ফোন তারপর দরজায় হুমকি চিঠি এইরকম নানা পর্যায়ক্রমে আমাদের দলের কর্মীদের ভয় দেখিয়ে নমিনেশন প্রত্যাহারের সময় ভিডিও এসডিও ডিএম রা সরাসরি অংশগ্রহণ করেন বলে জানান অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অধীর বলে এই যে পশ্চিমবঙ্গের বারো শতাংশ আসনে তৃণমূল জয়লাভ করল এগুলি সমস্ত কারচুপি বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন এইসব করে যখন কোন কিছু হচ্ছে না তখন বোমা গুলি বারুদ এর গন্ধে বাংলা আজ আজ বিষময় হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন এখনো ভোটের দিন বাকি আছে এইগুলো হচ্ছে আগের পর্যায়ের সব সন্ত্রাস বিরোধীদলের প্রার্থীদের অপহরণ এইসব শেষ পর্যায়ে। অর্থাৎ ভোটের দিন অধীর বলেন ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটের দিন ৭০ জন খুন হয়েছিল এবার যা তৃণমূল শুরু করেছে হয়তো এই রেকর্ড তারা ভেঙে দিবে সেই কারণে আমরা প্রথম থেকেই কেন্দ্র বাহিনী চেয়ে কোটের দ্বারস্থ হয়েছি, কোট সেই কথার মান্যতা দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে নিযুক্ত করেছেন।

অধীর বলেন তৃণমূল বাংলায় যেভাবে সন্ত্রাস চালাচ্ছে পঞ্চায়েত ভোট শেষ হওয়ার পরও তারা এই সন্ত্রাস চালিয়ে যাবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। তিনি বলেন বাংলার মানুষের এখন অপেক্ষা করা ছাড়া কোন উপায় নাই।