অবতক খবর,২৫ মার্চ,মলয় দে,নদীয়া:- সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগের প্রেম নদীয়ার বগুলা থেকে পৌঁছেছিলো বাংলাদেশের ময়মনসিংহে। অবশেষে ভুল বুঝতে পারলেও আইনি জটিলতা কাটিয়ে ঘরের মেয়ে ঘরে আসতে সময় লাগলো তিন বছর।

নদীয়ার ধানতলা থানা চাঁদপুর গ্রামের আইয়ুব আলী বিশ্বাসের মেয়ে কুড়ি বছর বয়সী মনিরা খাতুন ওরফে আসমা বিশ্বাস সে সময় বগুলা শ্রীকৃষ্ণ কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলো। পিজন মুন নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় আইডি তৈরি করা বাংলাদেশের ময়মনসিংহের শরাফত হোসেন এর সাথে বন্ধুত্ব রূপ নেয় গভীর প্রেমে। পরিচয় পত্র বিহীন ভাবেই বাড়ি থেকে পালিয়ে রাতের অন্ধকারে 16000 টাকা দালাল চক্রের হাতে দিয়ে সুযোগ পায় বাংলাদেশে প্রবেশের। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও সেখানে দুজনের অস্বাভাবিক আচরণে সন্দেহ এলাকাবাসী খবর দেয় বাংলাদেশ পুলিশকে। গত দুই হাজার কুড়ি সালের 23 শে ডিসেম্বর বাংলাদেশে ঝিনাইদহ জেলার একটি বাগান থেকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ পুলিশ এরপর শিশু আদালতের সিদ্ধান্ত তিন মাসের সংশোধনাগারে রাখা হয় তাকে।

2021 সালের মার্চ মাসে আদালতের আইনি প্রক্রিয়ার পর আজ, তার মামা মোঃ আরজ ধাবক এবং মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। চুয়াডাঙ্গা দর্শনা আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের কাছে বিজিবি এবং বিএসএফের পতাকা বৈঠকের পর ঘরের মেয়ে ফেরে ঘরে। বাংলাদেশের প্রশাসনিক এবং পুলিশের উচ্চপদস্থ ছাড়াও ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন গেদে ইমিগ্রেশন অফিসার ইন্সপেক্টর সন্দীপ তিওয়ারি, বিএসএফের গেদে কোম্পানি কমান্ডার সুনীল পায়েল, কৃষ্ণগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর বাবিন মুখার্জি এবং মানবাধিকার সংস্থার চিত্ত রঞ্জন দে।

মনিরা পরিবারের সাথে মিলিত হয়ে বলে এ ভুল যেন কেউ না করে।