অবতক খবর,২৫ মার্চ,মলয় দে,নদীয়া:- সপ্তম দোল কোনো রাধাকৃষ্ণ বিগ্রহের দোল উৎসব নয় । এটা প্রভু অদ্বৈতাচর্যের দোল উৎসব বলে সুপরিচিত । শান্তিপুর বাবলা অঞ্চল প্রভু আদৌতাচর্যের সাধন পিঠ হিসাবে পরিচিত । এই অঞ্চলের দোল বাবলার দোল বা প্রভু সিতা নাথের দোল হিসাবে পরিচিত । এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন প্রকার ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও পূজা পাঠ ।

এদিন দুর দূরান্ত থেকে প্রচুর ভক্তের সমাবেশ ঘটে এখানে । তবে তাৎপর্য পূর্ণ ভাবে একটি কথা বলা যায় এই বাবলা বা অদ্বৈতপাঠ সমস্ত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে এক বিশেষ তীর্থক্ষেত্র হিসাবে পরিচিত । নদিয়া তথা বাংলার পর্যটন কেন্দ্রের মানচিত্রে এক বিশেষ তীর্থক্ষেত্র হিসেবে এই অঞ্চল সর্বজনবিদিত । কারণ এক সময়ে এই এই অদ্বৈত পাঠে বাংলার গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু , অদ্বৈতাচার্য্য ও নিত্যানন্দ এই তিন মহামানবের মিলন ঘটেছিল । কথিত আছে এই অঞ্চলে প্রভু অদ্বৈতাচার্য্যের ব্যাবহার করা কুমণ্ডল উদ্ধার হয়েছিল সাধক বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামীর হাত ধরে ।

এক সময়ে এই মন্দিরের পাশে দিয়ে এই অঞ্চলে দিয়ে প্রবাহিত হতো ভাগীরথী নদী । যদিও বর্তমানে কালের নিয়মে ভাগীরথী বদলেছে তার গতিপথ । চারিদিকে আমগাছ ঘেরা এই বাবলা অঞ্চলে দোল উপলক্ষ্যে বসে সুবিশাল মেলা , ভক্তবৃন্দের উদ্দেশ্যে এদিন প্রসাদ বিতরণেরও ব্যাবস্থা থাকে । এদিন প্রভু অদ্বৈতাচর্য্যের মূর্তিকে নাট্ মন্দিরের পিছনের মন্দির অর্থাৎ মূল মন্দিরের বারান্দায় বসানো হয় । ভক্তরা তাদের আবীর প্রভুর উদ্দেশ্যে নিক্ষেপ করতে পারেন । অন্যদিকে মাধবেন্দ্র পুরির মন্দিরও খোলা থাকে সকাল থেকেই ভক্তদের জন্য , ভক্তরা আবীর মিষ্ঠান্ন প্রভুর উদ্দেশ্যে নিবেদন করেন এবং হোলির আনন্দে ও ধর্মীয় উন্মাদনায় মেতে ওঠেন এই অঞ্চলের মানুষজনের সাথে আগত ও বহিরাগত সকল ভক্তবৃন্দ ।