অবতক খবর,২৪ মে,জ্যোতির্ময় মন্ডল,পূর্ব বর্ধমানঃসামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ছবিকে ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে মন্তেশ্বরে। ভাইরাল হওয়া ছবিতে বর্ধমান- দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং অহলুওয়ালিয়া এবং মন্তেশ্বর ব্লকের বাঘাসন গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান ছন্দা রায় কে কোনো একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি ওই তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন?

‘যদিও সাক্ষাৎকারটির সাথে রাজনীতির কোন যোগ নেই, নিতান্তই সৌজন্যমূলক’ বলে দাবি করেছেন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান ছন্দা রায়। তার দাবি, সাংসদ তার বাপের বাড়ি এলাকা সূত্রে ছেলেবেলা থেকেই পরিচিত।

তাই তার সাথে সাক্ষাৎ করা। পাশাপাশি এলাকার একটি শ্মশানের উন্নয়নের বিষয়েও সাংসদকে জানানো হয়েছে। সে কারণে পঞ্চায়েতের কার্যনির্বাহী সহায়ককেও কাগজপত্র নিয়ে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আহমেদ হোসেন শেখ বলেন, ব্যক্তিগত পরিচয়ে সাক্ষাৎ করা যেতেই পারে। কিন্তু বাংলার উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই যথেষ্ট ।

প্রসঙ্গত সোমবার মন্তেশ্বরের বাঘাসন পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মালডাঙ্গা বাজারের একটি অনুষ্ঠান হলে বিজেপি সরকারের নয় বছর পূর্তি ও তার প্রচার উপলক্ষে একটি কর্মসূচির আয়োজন ছিল । সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্বরা। কর্মসূচি শেষ হয়ে যাবার পর ওই পঞ্চায়েত প্রধান পঞ্চায়েতের কার্যনির্বাহী সহায়ককে সঙ্গে নিয়ে ওই অনুষ্ঠান হলে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন। বাঘাসন অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি স্বপন রায়ের দাবি যেহেতু সংসদ প্রধানের দীর্ঘদিনের পরিচিত ।সেই কারণেই সৌজন্য সাক্ষাত এবং সেই সুযোগে এলাকার একটি শ্মশান সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে সেটিও তার কাছে তুলে ধরেন। এর মধ্যে রাজনীতির প্রশ্ন আসে কোথায়?

যদিও সাংসদ কে বেশ কয়েকবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। মন্তেশ্বর বিধানসভার

বিজেপির এক নম্বর মন্ডল কমিটির সভাপতি ঝুলন হাজরা বলেন, সাংসদ সকলেরই জনপ্রতিনিধি, তার কাছে যে কেও সাক্ষাত ও আবেদন রাখতে পারেন। এর মধ্যে আলোচনা কি হয়েছে কি আছে তা বলতে পারব না প্রধান ও সংসদই বলতে পারবেন।