অবতক খবর, উত্তর ২৪ পরগণাঃ  অ্যাকাউন্ট খুললেই প্রতিমাসে মিলবে ১০০ টাকা। আর সেই ফাঁদে পড়ে বিপাকে গোটা গ্রামবাসী। একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার কথা বলে কাগজ পত্র নিয়ে একই নামে একাধিক ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলে চলছে লেনদেন। যার কিছুই জানেন না অ্যাকাউন্ট হোল্ডা। দুবছর পর একজনের পাশ বই হাতে পেয়ে চক্ষুচড়ক এলাকাবাসীর। উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটা থানার তেতুলবেড়িয়া এলাকার ঘটনা। অভিযুক্ত যুবকের নাম দেবাশিষ মণ্ডল। গাইঘাটা ভিডিও অফিসের কর্মী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাইঘাটা থানার তেঁতুলবেড়িয়া এলাকার বাসিন্দা দেবাশিস মন্ডল তার এলাকার প্রায় ৫০০ লোকের কাছ থেকে কাগজপত্র নেয়, জিরো ব্যালেন্স এর অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার জন্য। গ্রামবাসীদের জানানো হয়েছিল একাউন্টে প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে পাওয়া যাবে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, দুইবছর কেটে গেলেও কেউ একটি পাশ বই হতে পায় নি। এক বার ১০০ টাকা করে পেলেও পরে আর কোন টাকা তারা পায় নি।

সম্প্রতি একজন দেবাশিষ মন্ডলের কাছ থেকে বই নিয়ে আপ টু ডেট করে দেখতে পায় তার অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিকবার টাকা লেনদেন করা হয়েছে। যা দেখে হুঁশ ফেরে গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে চড়াও হয়  দেবাশীষ মন্ডলের বাড়িতে। চেপে ধরাতে দেবাশীষ মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তি স্বীকার করে নেয় কমবেশি সবার নামে একাধিক একাউন্ট খোলা হয়েছে। যা থেকে টাকা লেনদেন করা হয়েছে।

এই ঘটনায় রবিবার গাইঘাটা থানায় অভিযুক্ত দেবাশীষ মন্ডলের বিরুদ্ধে একটি মাস পিটিশন জমা দেয় এলাকাবাসীরা। এই বিষয়ে রবিবার রাতে স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা গ্রামে একটি সালিশি সভা করেন। এই নিয়ে গাইঘাটা পঞ্চায়ের সমিতির সভাপতি বলেন, এই ধরনের কাজের সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে উপযুক্ত শাস্তি ব্যবস্থা করতে হবে। আমারা দেখবও যাতে বিডিও অফিসে কাজ না করতে পার সেই দিকেও দেখবো।

ঘটনার পরে অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বাড়িয়ে কেউ নেয়। ঘরে তালা মারা। ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও অভিযুক্ত দেবাশীষ মণ্ডল ও তার স্ত্রীর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ।