অবতক খবর: বুধবার সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবে স্বাস্থ্য ভবন। কলকাতা পুরসভাতেও সব দফতরের শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে ডেঙ্গি সংক্রান্ত বৈঠক করবেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মঙ্গলবার রাতে স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানান, চলতি মরসুমে পুরসভা সংলগ্ন গ্রামীণ এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি। সব রকম ভাবে নজরদারি চালানো হচ্ছে।

এই আবহে সমাজ মাধ্যমে বিতর্কিত পোস্ট বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের। কি লেখা ওই পোস্টে? পোস্টে লেখা,”সুপ্রভাত
৭ দিনে ৫ জনের মৃত্যু কলকাতায়
সাবধান থাকুন নিজেরাই। সরকারের উপর ভরসা করলেই বিপদে পড়বেন। আগের বছরের ভয়াবহতা থেকেও শিক্ষা নেয়নি মমতা সরকার। উদ্যোগী হয়নি পুরসভা। ফলে বর্ষা শুরু হতেই রাজ্যজুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।
কলকাতায় গত ৭ দিনে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে। সোমবার এনআরএসে মৃত ১১ বছরের কিশোর জয় বিশ্বাস। বাড়ি নদিয়ার হাঁসখালির গোরাপোতা গ্রামে। ২১ জুলাই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় নদিয়ার আরও এক বাসিন্দার। মৃত উমা সরকার রানাঘাটের বাসিন্দা বলে জানা যায়।
স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি। তবে মোট আক্রান্তের সিংহভাগই গ্রাম বাংলার। কলকাতায় এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা আড়াইশোর কাছাকাছি। গত শনিবারই শহর কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বছর দশেকের কিশোরী পল্লবী দে-র। তাঁর বাড়ি পিকনিক গার্ডেনে। কলকাতা থেকে জেলা ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে পুরসভার উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। গত বছরের ভয়াবহ স্মৃতি আমাদের মনে আছে।
এই সরকার ও তৃণমূল নেতারা ব্যস্ত ছিলেন পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে। জুলাই মাসে মশার লার্ভা নিধন, সচেতনতামূলক প্রচারের কাজ থমকে গিয়েছে। আর তাতেই যেন আরও বেড়েছে ডেঙ্গির দাপাদাপি।
এবার সঙ্গে যোগ হয়েছে পুরসভার দুর্নীতি। পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত শুরু হয়েছে। তৃণমূলের বহু পুরসভার চেয়ারম্যান থেকে কাউন্সিলর এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। কে কবে শ্রীঘরে ঠাঁই পাবেন ঠিক নেই। এরা নিজেদেরকে বাঁচাবেন না পুরসভার বাসিন্দাদের দিকে নজর দেবেন?
অতএব নিজেরা সাবধানে থাকুন। বাড়িতে জল জমে থাকলে পরিস্কার করুন।“

ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ঘুরে রিপোর্ট দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের ছ’টি দল। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া ও বীরভূমের কয়েকটি জায়গায় বাড়তি নজরের সুপারিশ করা হয়েছে।মঙ্গলবার কলকাতার ডেপুটি মেয়র তথা পুর স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ দাবি করেন, রাজ্যের মাধ্যমে তাঁরা কেন্দ্রে আবেদন করবেন, বাংলাদেশ থেকে এ রাজ্যে আসা মানুষের ডেঙ্গি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হোক। পিকনিক গার্ডেনে ১০ বছরের বালিকার মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘হাসপাতালের আগে যে কেন্দ্রে বালিকার ডেঙ্গি পরীক্ষা হয়েছিল, তারা রিপোর্ট পুরসভায় জানায়নি। তাদের শো-কজ় করা হচ্ছে।“চলতি মরসুমে এখনও পর্যন্ত ছ’জনের ডেঙ্গি মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। তাঁদের মধ্যে ন’মাসের শিশু, দশ ও তেরো বছরের বালিকার পাশাপাশি আরও দু’জন তরুণী এবং এক বৃদ্ধ রয়েছেন।