অবতক খবর,৫ মেঃ “সব প্রকল্পের টাকা মোদীজি দিচ্ছে । ওরা তো ভিখারি। ওরা আগেও ভিখারি ছিল এখনও ভিখারি রয়েছে। মনটাই ভিখারি । কারণ নেত্রী নিজেই ভিখারি।” শুক্রবার পুরুলিয়া সফরে এসে এই ভাবে তৃণমূল ও মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে তাঁদের ভিখারী বলে কটাক্ষ করেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দীলিপ ঘোষ।

শুক্রবার দলীয় করসূচি যোগ দেওয়ার আগে সাত সকালে পুরুলিয়া সাহেব বাঁধে প্রভাত ফেরির পর পুরুলিয়া ট্যাক্সি স্টান্ডে চায়ে পে চর্চায় যোগ দেন দীলিপ বাবু । সেইখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দীলিপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলের উদ্যেশে বলেন, সকাল থেকে টাকা দাও টাকা দাও ছাড়া আর কোন কথা নেই । ঠাকুর দেবতার নাম নেই। সারা জীবন শুধু মিথ্যা কথা বলেন । উনি যদি গঙ্গাস্নান করেন গঙ্গাও অপবিত্র হয়ে যাবে। সেজন্য উনি গঙ্গাতেও যান না। তাদের কাছ থেকে আর কোন কিছু আশা ও করিনি।”

এদিন তৃণমূলের “নব জোয়ারে করসূচিতে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন অভিষেক ও মমতা ব্যানার্জীর” সেই কটাক্ষের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেন দীলিপ বাবু। তিনি বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে যত বলবে, বিজেপির ততো ভোট বাড়বে। বাচ্চা ছেলেটাকে একা ছেড়ে দিতে পারেননি, তাই ছুটে গেছেন মালদায়। তিনি নিজের দলকে সামলাতে পারছেন না, তিনিই আবার ভারত সামলাতে গিয়েছিলেন। তিনি এখন আর বাংলার বাইরে যাচ্ছেন না, বাকিরা আসছেন উনার কাছে মন্ত্র নিতে। যারাই নিচ্ছে তাদের এখন উদ্ধব ঠাকরের মত অবস্থা হচ্ছে।

ময়নায় বিজেপি কর্মী মৃত্যু ঘটনায় বিজেপির আদী-নব্য লড়াই বলে গত কাল, কুনাল ঘোষ ট্যুইট করেছিলেন। এদিন সেই বিষয় জবাব দেন দিলীপ ঘোষ বলেন, কুনাল বাবু কোথায় আছেন, আগামী দিনে তার কি পরিস্থিতি হবে সেটা ভাবুন। বিজেপির সব সময় আদি-নব্য চলতেই থাকে। এটাই আমাদের কালচার। ওদের মধ্যে শুধু গুলি চলছে মারা যাচ্ছে । আমাদের ৩০০ লোককে ওরা হত্যা করেছে। এই ধরনের কথাবার্তা বলে মানুষকে আর বিভ্রান্ত করা যাবে না।

“রাজ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থাদের হানা” প্রসঙ্গে নিয়ে তিনি বলেন, পশ্চিমবাংলায় যে দুর্নীতি হয়েছে অনেকের বাড়িতেই সিবিআই যাচ্ছে। বহু দালাল এরকম আছে যারা টাকা তুলে পার্টির কাছে জমা দিয়েছে। বহু অনামী লোক এখন নামি হয়ে গেছে, এরাই এখন দুর্নীতির মূলে।

সাগরদীঘির নির্বাচন নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিষেকের কটাক্ষ উত্তর পাল্টা প্রতিক্রিয়া দীলিপ ঘোষের বলেন, হেরে গেলেই বলে বাইরে থেকে লোক এসেছে কিংবা টাকা দিয়েছে। ওরা যখন টাকা নিয়ে ভারতবর্ষের রাজ্যে রাজ্যে ঘুরেছিল। গোয়াতে এক একটি ভোট সাড়ে ছয় হাজার টাকা করে কিনেছে। তবুও নোটার উপর আসতে পারলেন না । নিজের অপদার্থতার জন্য অপরকে দোষ দিলে চলবেনা।

মুখ্যমন্ত্রী ফের এনআরসির বিরোধিতা করেছেন “এদিন সেই প্রসঙ্গে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দীলিপ ঘোষ বলেন, কোথাও যখন হেরে যান সংখ্যালঘু ভোট চলে যায় তখন এনআরসি সি এ এইসবের গল্প বলে।

এদিন ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে চা চক্র সেরে আজই কাশিপুর এবং সাঁওতালডিতে একাধিক কর্মসূচী যোগ দেবেন। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের কর্মীদের নানা বার্তা সোনা জাবে তাঁর মুখে ।