অবতক খবর,১৪ জুনঃ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী আজ বহরমপুর কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন এই সন্ত্রাস তৃণমূল চালাবেই, যতদিন পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন শেষ হবে ততদিন এই সন্ত্রাস চলবে এবং নির্বাচনের পরেও যদি ফলাফল অন্যরকম হয় তাহলে সন্ত্রাসের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। অধীর বলেন পশ্চিমবঙ্গের যে শাসক দল তাদের সবচেয়ে বড় ভরসা হচ্ছে সন্ত্রাস।

তারা নির্বাচন মানে না নির্বাচন করতে চাই না। অধীর বলেন আমি প্রথম দিন থেকে বলেছি যেখানে মানুষ প্রতিরোধ করতে পারবে সেখানে মানুষ ভোট দিবে, না হলে ভোট দেয়ার সম্ভাবনা সন্ত্রাসের কাছে মাথা নিচু করতে বাধ্য হবে। তিনি বলেন অরাজগতার যে বাতাবরণ সেটা বাংলায় তৈরি হয়ে গিয়েছে তার মধ্যে ব্যতিক্রম হিসাবে কোন কোন জায়গায় ব্যতিক্রম হচ্ছে মানুষ প্রতিরোধ করছে।

১৪৪ ধারা থাকা সত্ত্বেও শাসক দল বড় মিছিল করে বিডিও অফিস চত্বরে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে যাচ্ছে। এই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অধীর চৌধুরী বলেন সরকার টা তো শাসকদলেরই। বাদা কে দিবে নির্বাচনী কমিশনার শাসকদলের পুলিশ শাসকদলের ভিডিও শাসকদলের তো বাধা দেনেওয়ালা কে আছে। তিনি বলেন হাইকোর্ট নিজে বুঝেছেন এখানে এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন সম্ভব নয় সুতরাং এইটা আমাদের একটা নৈতিক জয় বললেন অধীর। তিনি বলেন নির্বাচনী কমিশনারকে কেউ মানেন তার কিছু আছে এটা একটা পদ না পদ। এটা ঠিক ঢাল নাই তরোয়াল নাই নিধিরাম সরদার গোছের।

তার নাম বাংলা নির্বাচনী কমিশনার, সে কি করবে তার কথা কে মানছে। তাকে বলে দিয়েছে শেয়ার দিলাম মাইনে নাও চুপটি করে বসে থাকো বললেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন এতদিন ধরে শাসক দল যে রাণীনগরের সন্ত্রাস করে এসেছে সন্ত্রাসের যে বাতাবরণ তৈরি করেছিল আজ রাণীনগরের মানুষ তা বুঝতে পেরে সবাই একত্রিত হয়ে বেরিয়ে পড়েছেন। তখন শাসক দল পাল্টা চোরা গোপ্তা ভাবে কংগ্রেসের তিন চারটি পরিবারের উপর হামলা করেছে, মোকাবিলা হবে তৃণমূল যদি ভাবে তারাই রানীনগরের ভাগ্য নির্ধারণ করবে তাহলে বিশাল ভুল করছে। প্রধানমন্ত্রী পৌর নিগমের চাকরির রেড কার্ড সম্বন্ধে এই রাজ্যকে নিয়ে বলেছেন এর উত্তরে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন কেন্দ্র সরকার ডিডিসিবিআই কে দিয়ে চাপ দিক কেন টাকা নিয়ে চাকরি দেয়ার পরও তারা বাইরে কেন তাহলে তারা গ্রেফতার হচ্ছে না কেন প্রশ্ন অধীরে র। অধীর বলেন মোদির ব্যথা দিদির ব্যথা মোদির হাতে ইডি সিবিআই থাকা সত্ত্বেও তার গতি নাই কারণ দিদির লোকজন ধরা পড়লে মোদির ব্যথাটা বেশি লাগবে।