অবতক খবর,মালদা,২৪আগস্ট: সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ অবস্থা পুলিশ আবাসনের। দূর থেকে দেখলে মনে হবে ভগ্ন কোন বাড়ি। দেওয়াল থেকে খসে পড়ছে বালি সিমেন্ট। স্যাত সেতে পরিবেশ। আর তার মাঝেই থাকতে হচ্ছে পুলিশদের। এবার দিনের বেলায় সেই আবাসন থেকে বেরোলো বিষাক্ত সাপ। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে আবাসন জুড়ে। সঠিক সময়ে আবাসনের মেরামতি না করা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও এই নিয়ে মন্তব্য করতে চাইনি পুলিশ কর্তারা। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ আবাসনের বেহাল দশা।

তার মাঝেই বসবাস করতে হচ্ছে পুলিশদের এবং তাদের পরিবারের লোকেদের। আবাসনের ভগ্নপ্রায় দশা। বিভিন্ন জায়গায় রং উঠে গেছে। খসে পড়ছে বালি সিমেন্ট। গজিয়ে উঠেছে আগাছা। এক কথায় বসবাসের অযোগ্য পরিবেশ। ফলে স্বাভাবিক এই ধরনের জায়গায় সাপ পোকা মাকড়ের উপদ্রব থাকবে। বুধবার দিনের আলোতেই আবাসনে দেখা গেল বিষাক্ত সাপ। যে সাপ এখনো পর্যন্ত আবাসনের ভেতরেই আছে বলে জানা গেছে। স্বাভাবিক ভাবে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে আবাসনে বসবাসকারী পুলিশ পরিবার। ছড়িয়েছে আতঙ্ক। সংস্কারের অভাবেই এই ধরনের বেহাল দশা পুলিশ আবাসনের। সরকারের পক্ষ থেকে কেন সঠিক সময়ে সংস্কার করা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সাধারণ এলাকাবাসী। কারণ যে পুলিশরা অতন্ত্র প্রহরী রূপে মানুষের নিরাপত্তার জন্য দিনরাত কাজ করে।

তাদের থাকার জায়গার এই ধরনের বেহাল দশা হলে তা সত্যি দুর্ভাগ্যজনক।যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই পুলিশ মন্ত্রী। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কোন মন্তব্য করা হয়নি।

 

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, পুলিশ আবাসনের অবস্থা সত্যি খারাপ। আজ সাপ বেরিয়েছে তা হল গাছে থাকা উড়ান্তি সাপ। খুব বিষাক্ত। যে পুলিশের আমাদের জন্য সব সময় কাজ করে বিপদের ঝুঁকি নিয়ে। তাদের থাকার জায়গা ঠিক থাকা উচিত।

 

মালদহ জেলায় শুধু হরিশ্চন্দ্রপুর থানা নয়। বিভিন্ন থানা তেই পুলিশ আবাসন গুলোর অবস্থা জড়াজীর্ণ। সংস্কারের অভাবে বেহাল দশা পুলিশ আবাসনগুলিতে। সাধারণ মানুষ যাতে নিশ্চিন্তে নিরাপত্তায় দিন যাপন করতে পারে রাতে ঘুমোতে পারে তাই জন্য সদা সর্বদা অতন্দ্র প্রহরী রূপে তাদের দায়িত্ব পালন করে পুলিশেরা। কিন্তু তাদের বা তাদের পরিবারের থাকার জায়গা যদি এই ধরনের হয় তা সত্যিই খুব দুর্ভাগ্যজনক। সরকারের উচিত দ্রুত এই আবাসন গুলো সংস্কারের ব্যবস্থা করা। যাতে সমাজের রক্ষা করতে তারা তাদের পরিবারের সাথে নিশ্চিন্তে অন্তত ঘুমোতে পারে।