অবতক খবর,৩১ মে: ব্যারাকপুরের রাজনীতিতে আগামীতে যে কি হতে চলেছে বা যারা নতুন দলে যোগদান করেছেন তারা কিভাবে আগামীতে এগোবেন, সবকিছুর জবাব গতকাল শ্যামনগরের জনসভা থেকে বাতলে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন,২০১৯ এবং এখনকার তৃণমূলে বিস্তর ফারাক। দলে অনেক কিছু বদলে গেছে এই তিন বছরে। ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং তাঁর ভুল বুঝতে পেরে ফের ফিরে এসেছেন। কিন্তু বাকি যারা গাদ্দার মীরজাফর তাদের জন্য দরজা খোলা হবে কিনা তা কর্মীদের কাছে জানতে চাইলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসভায় উপস্থিত কর্মীদের থেকে উত্তর এল দরজা বন্ধই থাকুক। অভিষেক পাল্টা উত্তরে বললেন তাই হবে, কথা দিলাম।

তবে এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এইসকল গাদ্দার,বেইমান, মীরজাফর শব্দগুলি যে তিনি ব্যবহার করছেন তা কাদের উদ্দেশ্যে বলছেন? কারণ অর্জুন পুত্র পবন সিং এখনো তৃণমূলে যোগদান করেননি। তিনিও লাইনে রয়েছেন বলেই সূত্রের খবর। অন্যদিকে সঞ্জয় সিং, তিনি তো এক কাঠি উপরে উঠে নিজেই ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি তৃণমূলের কর্মী হয়ে গেছেন। অথচ তিনি এখনও যোগদান করেননি।

তাহলে অর্জুন সিং যাদের নাম যোগাদানের জন্য প্রস্তাব করেছিলেন তাদের কি হবে?? কাঁচরাপাড়া,হালিশহর,নৈহাটি,ভাটপাড়া,জগদ্দল,নোয়াপাড়া,আমডাঙ্গা,ব্যারাকপুর,টিটাগড় অর্থাৎ যেখানে যেখানে অর্জুন পন্থীরা ছিলেন তাদের ভবিষ্যৎ কি?

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শ্যামনগরে জনসভা থেকে পরিষ্কার জানিয়েছেন, দরজা বন্ধ রাখলাম, আর কাউকে নেবো না।

এখন বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, এই যে যারা যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন,তারা কি তবে গাদ্দার,মীরজাফরের লিস্টে পড়ে গেলেন?? সেই কারণে কি তাদের যোগদান করানো হলো না?নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনো কারণ!!

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের রাজনীতি কোন পথে এগোবে তা সময়ই বলবে।