শীত এসেছে আমাদের এই উপত্যকায়। শীত ও জীবন মিশে যায়….

শীতের দৃশ্যময়তা
তমাল সাহা

শীত এলে দৃশ্যময়তা পেয়ে বসে আমাকে
মনসৃজার ফরসা হাত দুটো ভেসে ওঠে
আমার জন্য পশম বুনছে দুপুরে মিঠে রোদে বসে।
সেসব পালা চুকে গেছে
এখন কবিতা হয়ে শপিং মলে নিয়ে যায় আমাকে।
বলে,কোন সোয়েটারটা তোমার পছন্দ বলো।
আমি সোয়েটারগুলো এক এক করে নেড়েচেড়ে দেখি।দোকানী চোখ বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। কোনোটাতেই মনসৃজার হাতের উষ্ণতা খুঁজে পাই না।

শীতের সকালে ঝাঁপিয়ে সাদা ফুল ফোটা টগর গাছের দিকে আমার চোখ চলে যায়।
এত রঙিন ফুলের সমাহার এই শৈত্যের প্রবাহে তবুও সাদা ফুলের দিকে আমার দৃষ্টি কেন এ বয়সেও বুঝতে পারি না।

শীত এলে আমার ভগবতী দেবীর কথা মনে পড়ে যায়। তার ধরা গলার কণ্ঠস্বর শুনতে পাই– এবার আমার জন্য কোনো শাল আনিস নে খোকা!অন্তত ৫০ টা কম্বল নিয়ে আসিস, গরিবদের হাতে তুলে দেব।

শীত এলে রমণীয় রঙিন নারীদের অজস্র মুখ দেখি। ভুলে যাই তাদের সৌন্দর্যময় পেলব অবয়ব।
আমার চোখে ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে একটি দৃশ্য।
সন্ধ্যে হয়ে আসে। সেই নারীটির মুখে লেগে থাকে জলীয় বাষ্প। প্লাটফর্মের ওই কোণে তিনটি ইটের উপর ডালপালার আগুনে মাটি হাঁড়িতে কোন রকমে ভাত ফুটছে। কোলের শিশুটি অনেক কষ্ট করে টেনেটেনে মায়ের চুপসানো মাই চুষে যায়।

শীত অশ্লীলতা বা যৌনতাকেও হারিয়ে দেয়।
কোনোদিন এইসব মায়েদের স্তন ছিল কিনা জানিনা। শুকিয়ে যাওয়া বেগুনের মতো মাই দেখা যায়….