অবতক খবর,২৯মার্চ: গতকাল গভীর রাত্রে মালদহের সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতে শাসক দলের হাতে আক্রান্ত হয়ে ছিলেন এলাকারই এক কংগ্রেসের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী এবং সিপিএমের যুব সংগঠনের এক নেতা। আজ এই ঘটনার প্রতিবাদে হরিশ্চন্দ্রপুরে ধিক্কার মিছিলের আয়োজন করলো কংগ্রেস এবং সিপিএম নেতৃত্ব। এদিনের এই ধিক্কার মিছিলে উপস্থিত ছিলেন এলাকার প্রাক্তন কংগ্রেসের বিধায়ক মোস্তাক আলম, সিপিএম রাজ্য কমিটির সদস্য জামিল ফেরদৌস, সিপিএম জেলা কমিটির সদস্য শেখ খলিল, কংগ্রেস নেতা জিয়াউর রহমান চৌধুরী সহ আরো অনেকে। এদিন সিপিএম ও কংগ্রেসের নেতৃত্বে ধিক্কার মিছিল সারা হরিশ্চন্দ্রপুর পরিক্রমা করে। এরপরে হরিশ্চন্দ্রপুর শহীদ মোড়ে একটি প্রতিবাদ সভা আয়োজন করেন সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতৃত্ববৃন্দ। প্রসঙ্গত গতকাল গভীর রাত্রে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতে সরকারি ফাইল লোপাটকে কেন্দ্র করে শাসকদল এবং সিপিএম কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ১ ডিওয়াইএফআই নেতা এবং ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের সদস্যের স্বামী গুরুতর আহত হন। জানা গেছে গতকাল রাত্রে পঞ্চায়েত অফিসে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব বাপ্পা বিশ্বাসকে উপস্থিত থাকতে দেখে এলাকার ডিওয়াইএফআই নেতা ইরফান এবং কংগ্রেস নেতা আফসার হোসেন জিজ্ঞাসাবাদ আরম্ভ করেন।

এরপরই হঠাৎ করে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী কাউসার আলম এবং উপ-প্রধান গুড্ডু খানের নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জন তৃণমূল কর্মী সমর্থক ওই দুজনের উপর আক্রমণ করে। ওই দুজনকে বেধড়ক মারধর করা হয় ঘটনায় মাথা ফেটে যায় ডিওয়াইএফাই নেতা ইরফানের। এই ঘটনার প্রতিবাদে সিপিএম ও কংগ্রেস হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় এই ধিক্কার মিছিলের আয়োজন করলো। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা।