অবতক খবর,১ অক্টোবরঃ শান্তিপুর তো বটেই নদীয়া জেলার অত্যন্ত প্রাচীন শান্তিপুর দত্তপাড়া রায়বাড়ীর দূর্গা পুজো। আনুমানিক প্রায় ৫০০ বছর ধরে এই পুজো হয়ে আসছে। সে সময়ের জমিদার রায় প্রথম প্রতিষ্ঠা করেন পরবর্তীতে মতি রায় তাছাড়া বাংলা প্রচার এবং প্রসার ঘটান। সোনার হলেও সে সময় প্রতিবছর মায়ের গহনা পরিবর্তিত হতো। শান্তিপুরের জনগণের সুবিধার্থে বাগআঁচড়া লাইব্রেরী, মতিগঞ্জ মোড়, সহ বেশ কিছু জায়গা তারা জনগণের সুবিধার্থে প্রদান করেছিলেন বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে। তবে তবে পরিবার সদস্যদের কাজী সুবাদে বাইরে থাকার তা ক্রমশ অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়তে থাকে। পুজোর রীতিনীতি ঠিকঠাক থাকলেও সে জৌলুস দান খয়রাতি আজ আর নেই।

১৩-১৪ বছর আগে একবার, চুরি যায় মায়ের বহু সোনার গহনা। তার পরবর্তী সময়ে পুজো প্রায় বন্ধের সিদ্ধান্ত হষ নেয় পরিবার। তবে বর্তমান পরিবার উজ্জ্বল রায় দায়িত্ব নিয়ে সচল রাখেন পুজো।

তবে গতকাল পঞ্চমীর মধ্য রাতে মায়ের গহনা পড়িয়ে, সবেমাত্র নিদ্রা গেছেন এমন সময়ে ভোর রাতেই হয়তো, মায়ের সমস্ত সোনার গহনা চুরি হয়ে যায় এমনকি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রুপোর গহনাও।

পরিবার প্রধান উজ্জ্বল রায় বলেন, বাড়িটি আগেকার চারিদিকে দোতলা বহু উচ্চতার, সদর গেট বন্ধ করলে কোন ভাবে ঢোকা সম্ভব নয়। কিভাবে এই ঘটনা ঘটলো তা বুঝতে পারছি না। শান্তিপুর থানার খবর দেওয়ার পর পুলিশ এসে তা খতিয়ে দেখে গেছে, অর্থাভাবে সিসি ক্যামেরা লাগানো সম্ভব হয়নি তাই তদন্ত বেশ খানিকটা জটিল ।

সোনার টায়রা, সোনার টিপ, সোনার চোখ, চিক হার, রুপোর একটি বড় আকারের হার, আরো বেশ কিছু অলংকার চুরি গেছে। সরকারি অনুদানবিহীন

অর্থ অভাবে দুর্গাপূজা প্রায় বন্ধ হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল এই রায় বাড়িতে। এ ধরনের ঘটনায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। দুর্গের মতন বাড়িতে প্রবেশ এবং রুপোর গহনা রেখে বেছে বেছে সোনার গয়না নিয়ে যাওয়া, রুপোর মুকুট রেখে যাওয়া, এ ধরনের ঘটনা থেকে পরিবারের অনুমান, অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং গতকাল মধ্যরাত্রে সকলের নির্ধা গেছে সে খবর পেয়ে কেউবা কারা এ ধরনের ঘৃন্য দুঃসাহসিক ঘটনা ঘটিয়েছে।