অবতক খবর,১৪ এপ্রিল,মলয় দে,নদীয়া:- প্রসূতি মহিলার মৃত্যু ঘিরে ধুমধুমার পরিস্থিতি, ভাঙচুর করা হয় নার্সিংহোমের তিনতলা নার্সিংহোমের নিচের তলার অফিস কম্পিউটার থেকে শুরু করে যাবতীয় জিনিসপত্র। আক্রমনাত্মক চেহারা দেখে চিকিৎসকদের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ, পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে শান্তিপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।

রোগী পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসার গাফিলতির কারণে মৃত্যু হয় প্রসূতি মহিলার। এর আগেও চিকিৎসার গাফিলতির কারণেই আরো এক প্রসূতি মহিলার মৃত্যু হয়েছিল এই নার্সিংহোমেই। জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে শান্তিপুর স্টেশন সংলগ্ন গোডাউন পাড়ার বাসিন্দা দুর্গা পাশওয়ান তার স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শান্তিপুর এক নম্বর রেলগেট সংলগ্ন শ্রীকৃষ্ণ হেলথকেয়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করায়। তার কিছুটা সময় বাদে ওই মহিলার সিজার হয়, সিজার করার পরেই ওই মহিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।

চিকিৎসকদের দাবি, ওই মহিলার সিজার করার পরে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়, এবং প্রচুর ব্লিডিং হতে শুরু করে। এমত অবস্থায় চিকিৎসকরা অন্য জায়গায় স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু তার আগেই মৃত্যু হয় ওই প্রসূতি মহিলার।

রোগী পরিবারের অভিযোগ, মৃত্যুর দুঘন্টা বাদে পরিবারকে খবর দেয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। রোগীর অবনতির কথা জানানো হয়নি পরিবারকে, সম্পূর্ণ চিকিৎসার গাফিলতির কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই প্রসূত মহিলার। জানা যায় মৃত মহিলার নাম সোমা পাশওয়ান, বয়স আনুমানিক ২৭ বছর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুমধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় নার্সিংহোম চত্বরে, এর পরেই রোগী পরিবারের লোকজন নার্সিংহোম লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি শুরু করে, এছাড়াও নার্সিংহোমের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর করে। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার শান্তিপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এরপর রোগী পরিবারের সাথে কথা বলে।

জানা যায় সদ্যোজাত শিশুর প্রথমদিকে শারীরিক অবস্থা খারাপ হলেও এখন বর্তমানে সুস্থ। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে নার্সিংহোম চত্বর এলাকায়। এখনো প্রচুর পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে নার্সিংহোমের সামনে।

নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানায়, মৃতের পরিবারের থেকেও ঢের বেশী আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে আশেপাশের বেশকিছু পাড়ার ছেলেরা। তবে যেখানে অবস্থিত নার্সিংহোম সেই গোডাউন পাড়ার কেউ ছিল না এই ভাঙচুরের ঘটনায়। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর যে শাস্তি দেবে মাথা পেতে নেবো, কিন্তু লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে শান্তিপুর আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের চিকিৎসা ব্যাহত করেছে যারা তাদের শাস্তির দাবি করেছেন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ।