শহিদের গল্প
তমাল সাহা

বাপ! মড়াটো ইমন কইরে আইনছে
কিনো রে! ইরম ভাবে তো কুনোদিন মড়া কান্ধে লিতে দেখি লাই!

আরে! ইট্যাকে কফিন বলে! ইটা হইল্য শহিদের ডেডবডি।

বাপ! শহিদ কাকে বুলে রে!

ই ব্যাটা দেশ বাঁচাইতে পাত্থর-লাঠি-রডের ঘা খেইয়ে মইরছে। দেশের লিগ্যে জান দিছে। দেশের লিগ্যে যারা জান দেয় উদের শহিদ বুলে।

বাপ! ইত্তোদিন শুনছি গুলি খেইয়ে মইরে গেলে শহিদ হয়, ইখন তু আমাকে ভুল বুঝাইছিস কিন রে বাপ! লাঠি খেইয়ে শহিদ হইছে।

আরে! দিনমজুরের ব্যাটা শহিদ হইছে,
ইটা কম বড় কথা লয়। গাঁয়ের ইজ্জতটো বাইড়ে গেল বট্যে।
দ্যাখ কুত্তো লোক হাইমলে পইড়ছে।

বাপ! দিশের লিগ্যে কুনো মন্ত্রী জান দিছে ইমন তো শুনি লাই রে বাপ!

চুপ যা ব্যাটা! চুপ যা! ইসব বুলতে লাই। কেউ শুনে লিবেক! তুখন ঝামেলা হইয়ে যাবেক।

বাপ! দেশের লিগ্যে জান দিল তো,
ইবার কি হবেক?

আরে! মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে বুইলে দিছে পাঁচ লাখ টাকা দিবেক, আর পরিবারের ইকজনকে কাম দিবেক।

তা বাপ! পধানমন্ত্রী কিছু দিবেক লাই?

উতো পধানমন্ত্রী, বড় মন্ত্রী। উর বুইলতে ইকটু টাইম লাইগবে। তবে উও দিবেক।

বাপ! কুত্তো দিবেক রে!

উ বড় মন্ত্রী যখন মুখ্যমন্ত্রীর থিকে লিশ্চই বেশি দিবেক।

বাপ! পাঁচ কোটি দিবেক?

ই আমি কেমনে বইলবেক!
তবে উ মরণোত্তর সনমান পাবেক।
গান স্যালুট পাবেক।

বাপ! উ পাবেক মানে?
উ তো মইরে গিছ্যে।
উ সনমান লিবে কেমনে?
স্যালুট দেইখবে কিমন কইরে?

চুপ যা ব্যাটা। তুর ইত্তো কথার জবাব
মু দিতে পাইরবেক লাই। চুপ যা!

বাপ! শেষ ইকটো পশ্ন আছে রে বাপ! যুদ্ধ বান্ধায় কে রে বাপ?
তুর ইত্তো সাহস! ই পশ্ন তু তুলিস? তুর মরণ ঘনাইছে বুট্যে!