শহর জুড়ে তৃণমূল দলের বিরুদ্ধে জন-প্রতিক্রিয়া         ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে তৃণমূল

অবতক খবর,২ মার্চ: কাঁচরাপাড়া অঞ্চলের তৃণমূল দলটির ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এই তৃণমূল দলটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে সার্ভে করছে। প্রতিটি পরিবারের লোক সংখ্যা কত, ভোটার কত, এসিএসটি কিনা এই সমস্ত জানতে চাইছে। এতে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করছেন যে এটি এনপিআর করিয়ে নিচ্ছে বিজেপি নামক দলটি তৃণমূল দলের মাধ্যমে। তারা সন্দেহ করছেন যে বিজেপি এবং তৃণমূল দলের মধ্যে যে গোপন আঁতাত বলে বিরোধীরা প্রচার চালাচ্ছে এবং সেটাই অনেকটা সঠিক বলে প্রমাণিত হচ্ছে।

ওয়ার্ডের ওয়ার্ডের মানুষেরা অভিযোগ করছেন যে হঠাৎ কি কারণে তারা এই কাজে নেমে পড়লেন? সরকারিভাবে পৌর কর্তৃপক্ষর থেকেও কোনো নির্দেশ আসেনি বা পৌর কর্তৃপক্ষ এমন প্রচার করেননি যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। ফলে জনগণের মধ্যে একটি আতঙ্ক তৈরি হয়ে গেছে এবং তারা বারংবার বলছেন যে, এই কাজটি করতে তৃণমূল হঠাৎ করে নামল কেন?

বারবার অমিত শাহ বলছেন, সিএএ হবেই, তারমানে এনপিআর-এর পরের পর্যায় হল সিএএ বা এনআরসি। তাহলে কি সেই প্রাথমিক পর্বের কাজ বিজেপি তৃণমূল দলকে দিয়েই করিয়ে নিচ্ছে? আরও লোকের সন্দেহ হয়েছে এই কারণে যে ভারতবর্ষের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ যিনি দিল্লির নিরাপত্তা রক্ষা করতে পারেননি,প্রায় ৫০ জন মানুষ দাঙ্গায় খুন হয়ে গিয়েছেন এবং জনসাধারণের কাছে তিনি খুনি বলে প্রতিপন্ন হচ্ছেন,সেই ক্ষেত্রে গতকাল ১ মার্চ তার বিরুদ্ধে তৃণমূল কোনরকম প্রতিক্রিয়া দেখায়নি, কোন স্লোগান তোলেনি,এটিও মানুষের কাছে রহস্যময় বলে ঠেকছে।

যে শাহর বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিমুহূর্তে খড়্গহস্ত অথচ তিনি সুস্থভাবে এখানে জনসভা করে গেলেন, এমনকি যে স্লোগানটি দাঙ্গাবাহী স্লোগান,যা নিয়ে দিল্লির হাইকোর্টের বিচারপতি মুরলীধর বদলি হয়ে গেলেন, যার জন্য তিনি অভিযুক্ত করেছেন চারজন বিজেপি নেতৃস্হানীয়কে এবং তিনি বলতে চেয়েছেন ‘গোলি মারো শালো কো’ এটা একটা উস্কানিমূলক স্লোগান। এই স্লোগানটি গতকাল ব্যাপকভাবে কলকাতা জুড়ে চলেছে,অথচ মমতা ব্যানার্জীর হাতে পুলিশ দপ্তরের দায়িত্ব থাকা সত্ত্বেও তার পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলত,জনমনে তৃণমূল দলটি আরো সন্দেহজনক হয়ে পড়ছে।

আরও সন্দেহ দেখা দিয়েছে কারণ তারা এই তৃণমূল দল যারা এই তথ্য সংগ্রহে নেমেছে তারা বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে বিভিন্ন রকম কথা বলছেন। কেউ বলছেন ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে কতখানি কাজ হয়েছে, সেই জন্য আমরা এই তথ্য জোগাড় করছি। অন্য ওয়ার্ডে গিয়ে বলছেন ভোট আসছে তাই আমরা কোথায় কত ভোটার আছে জানতে চাইছি,এই যে বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিভিন্নরকম কথা বলছেন।এর ফলে তৃণমূল দলটি জনগণের কাছে আরো হেয় প্রতিপন্ন হয়ে পড়ছে এবং সাধারণ মানুষের কাছে সন্দেহভাজন হয়ে পড়ছে।