অবতক খবর, সাজ্জাদ হোসেন আহমেদ, কোচবিহার 24 এপ্রিল শুক্রবার ::  কোচবিহার জেলার সিতাই ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম ব্রহ্মত্তোর চাত্রা গ্রামের বাসিন্দা দিলিপ বর্মন তার শিড়দাঁড়া ভেঙ্গে আজোও শয্যাশায়ী। জীবনের যৌবন অবস্থা থেকেই সংসারে অভাবের দায় সামলাতে, ভীন রাজ্যে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে যেতে হয় তাকে। সম্প্রতি মেঘালয়ের শিলং শহরে কাজ করতে গিয়ে এক বিল্ডিংয়ের উপর থেকে পড়ে গিয়ে তার মেরুদন্ড ভেঙে যায়। সেও আট নয় মাস আগের ঘটণা। সেই থেকেই সে শরীরের কষ্ট নিয়ে বিছানায় পড়ে রয়েছেন। শরীরকে সুস্থ করতে চিকিৎসা করিয়েছেন অনেক। কিন্তু সুফল হয়নি। এমনকি চিকিৎসা করতে গিয়ে তার নিজস্ব বাড়িভিটা পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছে বলে জানান দিলিপ বর্মন।

এখন সে সৎমায়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। দিলিপের পিতা ইন্দ্রজিৎ বর্মন একজন দিনমজুর। তারোও টানা টানির সংসার। বাড়িভিটা ছাড়া তারও আর কোনো বিষয় সম্পত্তি নেই। দিলিপ বর্মনের এই কঠিন সময়ে তার বিবাহিত স্ত্রী, দুই পুত্র ও স্বামীকে ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে গেছেন। দিলিপের ভরসা এখন তার ঠাকুমা। প্রায় পঁচাত্তর বছর বয়স্কা ঠাকুমা তার নাতিকে দিনরাত সেবা যত্ন দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন। বলতে গেলে, পুরোপুরি বিনা চিকিৎসায় এবং বিনা খোরাকে মরতে বসেছে চল্লিশ বছরের জোয়ান ও দুই সন্তানের বাপ দিলিপ বর্মন। এহেন অবস্থায় দিলিপ বর্মনের আকুল আকুতি আপনারা আমাকে বাঁচান।

দিলিপ বর্মনের বাড়িতে গিয়ে জানা গেল, এই লকডাউনের সময়েও সে পায়নি কোনো রকম সরকারি সহায়তা। একটি কঠিন পরিস্থিতিতে বিনা চিকিৎসায় প্রায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঁঞ্জা লড়ছে দিলিপ বর্মন। নয় দশ বছরের ছেলে দুটোর চোখের দিকে তাকালে যে কোনো নিষ্ঠুর মানুষেরও বুক ফেটে যায়। কি নির্মম পরিস্থিতি দিলিপের। এই অবস্থায় যে কোনো সহৃদয় মানুষের সহযোগিতা কামনা করে দিলিপের পরিবার।