লুম্পেন হবো বলে
তমাল সাহা

আমি জেনে গিয়েছি আক্ষরিক শব্দের আমার আর কোনো প্রয়োজন নেই। তাই আমি ছুড়ে ফেলে দিয়েছি কলম।
আমি যথার্থ লুম্পেন হতে চাই বলে তুলে নিয়েছি বারুদ-বোমা। ভালো করে রপ্ত করে নিয়েছি গন্ধ ও মোমছালের রসায়ন এবং দড়ি প্যাঁচানোর ব্যাকরণ।

আমি লুম্পেন হতে চাই‌। ইস্কুলের ছাদে বোমা ছুড়ে দিতে পারি। জানিয়ে দিতে চাই আর কোনো প্রয়োজন নেই স্কুলঘর ও ক্লাস। এমন কোনো গ্যারান্টি নেই পড়াশোনা করলেই তুমি পেয়ে যাবে চাকরি।

আমি বোমা ছোড়া প্র্যাকটিস করছি। এখন অন্ধকার গলিতে ফেলে দিয়ে যাই কোনো চোরা গুপ্তা দেহ। কচু কাটতে কাটতে হাত পাকা হয়ে গেলে আমি হয়ে যাব চরম লুম্পেন। চিনে যাব আসল মুখোশটি পরে আছে কে!
তখন তুমি আশ্চর্য হবে, দেখতে পাবে ফেলে দিয়েছি আসল লাশ।
সেই লাশের শনাক্তকরণে তোমাদের সে কী উল্লাস!
ততক্ষণে ধরা পড়ে গেছি আমি। তোমরা বুঝে গিয়েছো এর নিশ্চিত ফাঁসির দণ্ড অথবা আজীবন কারাবাস।

কলমে শব্দ যোজনা করি না আমি আর। বিস্ফোরণের শব্দ ভালোবেসে লুম্পেন হয়েছি। শব্দ সান্নিধ্য কিছুতেই ছাড়তে পারিনি আমি। কেননা শব্দই ব্রহ্ম। এক শব্দ ছেড়ে অন্য শব্দের অভিমুখে যাত্রা করেছি।