অবতক খবর, নদীয়া :     নদীয়া শান্তিপুর হরিপুর নীলকুঠি দক্ষিণ পাড়ার পীযূষ সরকার দাদু ক্ষিতীশ সরকারের সম্পূর্ণ ইচ্ছাপূরণ না করতে পারলেও, আত্মার শান্তি দিয়েছেন রাম মন্দির গড়ে। পীযুষের দাদু ক্ষিতীশ বাবু যখন ৩০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে আসেন, ফেলে এসেছিলেন স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির সবকিছু। শুধু পরিবারের মানুষগুলোকে সাথে নিয়ে সমস্ত স্মৃতি পেছনে ফেলে নতুন আশায় বুক বেঁধেছিলেন হরিপুর নীলকুঠি পাড়ায়।

গোঁড়া হিন্দু ক্ষিতীশ বাবুর একটি ইচ্ছে ছিলো! ওদেশের বাড়ির ভিতের একটা ইঁট বয়ে নিয়ে এসেছিলেন ইন্ডিয়াতে রাম মন্দির গড়ার কাজে লাগাবেন বলে। কিন্তু ইন্ডিয়াতে এসে বুঝলেন রাজনৈতিক বিভিন্ন বাধা কাটিয়ে হয়তো তাঁর বা তাঁর ছেলের জীবনে হয়তো হয়ে উঠবে না। তবে তিনি বিশ্বাস করতেন সত্যের জয় একদিন হবেই। তাই সেদিনের ক্লাস সিক্সে পড়া নাতি কে জানিয়ে গিয়েছিলেন মনের সুপ্ত বাসনার কথা। দাদু গত হয়েছে ১০ বছর,নাতির উপযুক্ত বয়সও হয়েছে অযোধ্যায় যাওয়ার মত। কিন্তু এবারও লকডাউন এ বন্ধ সমস্ত গণপরিবহন ব্যবস্থা, নেই কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সাথে বিশেষ পরিচয়। তাই দাদুর দেওয়া সেই একখণ্ড ইট মাটিতে পুঁতে রাজা, চৈতন্য, গৌরব, রাকেশ, সুরজিৎ, অমিত দের মত বন্ধুদের নিয়ে থার্মোকল, পিন পেরেক, রং, আঠা দিয়ে চারদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে বানিয়ে ফেললেন আস্ত একটি রাম মন্দির।

এলাকার সমস্ত মহিলারা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পুজো দিয়ে গেলেন এই অস্থায়ী মন্দিরে। তবে পীযুষের বন্ধুরা সকলেই এখন বেকার, সকার হলে শুধু দাদুর নয়! এলাকার সমস্ত বয়সজ্যেষ্ঠদের মনোবাঞ্ছা পূরণে গড়বেন “রাম মন্দির” তবে অবশ্যই আজকের তৈরি থার্মোকলের নকশার আদলে।