অবতক খবর,মলয় দে,২০ মার্চ,নদীয়া:- জনগণের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে এবারের পৌরসভা নির্বাচনে ভোট লুট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবারের পুরো নির্বাচনে নদীয়ার তাহেরপুর পৌরসভায় ফের জয় লাভ করার পর রবিবার সন্ধ্যায় তাহেরপুর তরুণ সংঘের মাঠে বিজয় সমাবেশে ভাষণ দিতে এসেছিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।

সেখানে এমন মন্তব্য করেন তিনি। ওই বিজয় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য শতরূপ ঘোষ, নদীয়া জেলা সম্পাদক সুমিত দে, তাহেরপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুপ্রতিপ রায়, প্রাক্তন সাংসদ অলকেশ দাস, সিআইটি ইউ জেলা নেতৃত্ব এস এম শাদী, প্রাক্তন বিধায়ক রমা বিশ্বাস ,নতুন পৌর বোর্ডের চেয়ারম্যান উত্তম আনন্দ দাস, ভাইস চেয়ারম্যান শোভা শীল, প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান বঙ্কিম চক্রবর্তী প্রাক্তন চেয়ারম্যান রতন রঞ্জন রায়, সহ অনেকেই। বিমান বসু বলেন,’ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হু হু করে বাড়ছে। সেদিকে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কোন খেয়াল নেই। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করার দিকে কোন খেয়াল নেই।

সরকারি স্কুলগুলিতে প্রয়োজনীয় শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী কম। অথচ পুরসভা নির্বাচনে জনসাধারণের মতামত ব্যক্ত করতে না দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ভোট লুট করেছে। এখনো যে পুরসভা গুলিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নেই, সেখানে অন্য দল থেকে কাউন্সিলর ভাঙ্গানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পুরুলিয়ায় কংগ্রেস কাউন্সিলর কে হত্যার ঘটনা তার প্রমাণ। সংবাদমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, পুলিশের মাধ্যমে বলা হচ্ছে কংগ্রেস করে কোন লাভ নেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দাও। যাতে ওরা বোর্ড গঠন করতে পারে। এটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পক্ষে ক্ষতিকারক। কলকাতা কর্পোরেশনের মহানাগরিক পর্যন্ত যা কথা বলছেন তার উত্তর দিতে আমাদের বিবেকে বাধে।’

বিভিন্ন ওয়ার্ডে কর্মী-সমর্থকদের প্রবল উৎসাহের সাথে মিছিল করে স্থানীয় তড়িৎ সংঘের মাঠে আসতে দেখা যায় আজকের সংবর্ধনা সভায়। সিপিআইএম প্রতীক চিহ্ন জয়লাভ করা 8 টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দের এবং পরাজিত হলেও বাকি পাঁচটি ওয়ার্ডে লাল ঝান্ডা নিয়ে বুক চিতিয়ে লড়াই করা, এবং বুথ আঁকড়ে পড়ে থাকার জন্য সংবর্ধিত করা হয় পরাজিত প্রার্থীদেরও।