অবতক খবর,৮ ফেব্রুয়ারি : বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই উত্তাল হয়ে উঠল বিধানসভা। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ভাষণ পাঠ শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যেই স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপির বিধায়কেরা। কার্যত ভাষণ শোনাই দায় হয়ে ওঠে। তবে তাতে এতটুকু বিচলিত হননি রাজ্যপাল। স্লোগানের মাঝেই পুরো ভাষণ শেষ করেন তিনি। এদিন ভাষণে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা প্রসঙ্গ উঠে আসতেই সরব হয় বিজেপি। তৃণমূল সরকার-বিরোধী স্লোগান তুলতে থাকেন তাঁরা। ২০২২-এর বাজেট অধিবেশনে জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকাকালীন ভাষণ শেষ করতে পারেননি বিধায়কদের হট্টগোলে। এবার সেই একই রকম হট্টগোল হলেও ভাষণ পড়া বন্ধ করেননি রাজ্যপাল।

ভাষণের একটি অংশে রাজ্যপাল পাঠ করেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিগত বছর শান্তিপূর্ণভাবে কেটেছে। রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সরকার সর্বদা তৎপর। আনন্দ ও সৌহার্দ্যের বাতাবরণে সব ধর্মীয় উৎসব পালিত হয়েছে।’ অতিমারির সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব করেছে রাজ্য সরকার, এমন বার্তাও ছিল ভাষণে। এরপরই বিজেপি বিধায়কেরা শাসক দলকে আক্রমণ করে স্লোগান দিতে শুরু করে। মূলত দুর্নীতি, বকেয়া ডিএ সহ নানা ইস্যুতে স্লোগান দিতে থাকেন বিধায়কেরা। পরে ভাষণ শেষ হওয়ার আগেই বিধানসভা কক্ষ ছাড়েন তাঁরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওয়াক-আউট করেন তাঁরা।

সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শুধুমাত্র শাসক দলের বিরুদ্ধে নয়, রাজ্যপালের বিরুদ্ধেও এদিন সরব হন শুভেন্দুরা। রাজ্যপালকে ধিক ধিক স্লোগান দিতে দিতে কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান তাঁরা। বাইরে বেরিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। যদিও এদিন সব বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন না বিধানসভায়।

তবে এতসবের পরও রাজ্যপাল হাসিমুখে ভাষণ শেষ করে বেরিয়ে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পুরো ভাষণ এদিন সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়েছে। রাজ্যপালের ভাষণের দিকে এদিন নজর ছিল সব মহলেরই। তবে বিধানসভায় যা হল, তাতে বিজেপি কার্যত রাজ্যপালের সম্মুখ সমরে নামলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।