অবতক খবর,৮ অক্টোবরঃ গত ২রা সেপ্টেম্বর হালিশহর পৌরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানিকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। বর্ধমান সানমার্গ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামক এক অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে তিনি যুক্ত এবং তিনি একজন অন্যতম বেনিফিশিয়ারি। এমনই জানা গেছে সিবিআই সূত্রে।

অন্যদিকে এই ঘটনার তদন্তের স্বার্থে বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারী এবং কাঁচরাপাড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারীর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। সুবোধ অধিকারী এবং কমল অধিকারী দুজনেই রাজু সাহানির ঘনিষ্ঠ।

রাজ্যের এক দৈনিক সংবাদপত্র লিখেছে যে, এই সন্মার্গ চিটফান্ড মামলায় গ্রেপ্তার রাজু সাহানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে যে,রাজ্যের শাসক দলের শীর্ষ কিছু নেতার গচ্ছিত কোটি কোটি টাকা রাজু সাহানি এবং একাধিক বিধায়ক,কাউন্সিলর এবং ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। সম্প্রতি আসানসোল বিশেষ আদালত রাজু সাহানির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেতে ইন্টারপোলের সাহায্য নিচ্ছে।

সিবিআইয়ের অভিযোগ হালিশহর পৌরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানি ওই চিটফান্ডের টাকার অন্যতম ভাগীদার এবং সুবিধাভোগী। নামে-বেনামে প্রচুর টাকা বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ হয়েছিল। শুধু তাই নয়, বিদেশি ব্যাঙ্কে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাচারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

সিবিআইয়ের আরো অভিযোগ,শাসক দলের এক শীর্ষ নেতার মাধ্যমে রাজু সাহানি তাঁর ঘনিষ্ঠ একাধিক বিধায়ক ও কয়েকটি পৌরসভার বেশ কিছু কাউন্সিলরের কাছে টাকা জমা রাখে। পরে তা বিভিন্ন সম্পত্তিতে বিনিয়োগ এবং বিদেশে পাচার করা হয়। ২০১৪-২০১৬ সালে প্রায় ৫০-১০০ কোটি টাকা লুট করা হয়েছে। বর্তমানে ওই শীর্ষ নেতা সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন। এমনই অভিযোগ করেছে সিবিআই।

সিবিআইয়ের দাবি,রাজু সাহানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির যোগসূত্র মিলেছে। অভিযোগ,ওই লুটের টাকায় কলকাতা,বীজপুর ও হালিশহরে প্রচুর জমি,বাড়ি,ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে এবং বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয়েছে।