অবতক খবর : স্মার্ট সিটি হতে চলেছে বীজপুর। ঘোষণা করলেন বীজপুর বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী সুবোধ অধিকারী। বীজপুরকে এখন পাখির চোখ করে রাখছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বীজপুরের উল্লেখযোগ্য শহর হল কাঁচরাপাড়া। আর কাঁচরাপাড়া হচ্ছে ব্যবসায়ীক ক্ষেত্র। এখানে গড়ে উঠেছে বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গড়ে উঠেছে বড় বড় শপিং মল। বলতে গেলে কাঁচরাপাড়া অনেক উন্নত একটি শহর। ‌

তবে বীজপুরে আর কি বাকি?
যখন আমরা এই প্রশ্ন করি সুবোধ অধিকারীকে,তখন তিনি বলেন,”বীজপুর এখন স্মার্ট সিটি হওয়া বাকি। আপনাদের জানিয়ে রাখি সর্বপ্রথম আমি কিন্তু একজন ব্যবসায়ী। তারপর আমি সমাজসেবী, আর সর্বশেষ আমি রাজনীতিতে এসেছি। যেহেতু আমি একজন ব্যবসায়ী তাই আমি জানি কিভাবে ব্যবসার মাধ্যমে একটি অঞ্চলকে আরো উন্নত করা যায়। চারিদিকে যে উন্নয়ন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন,আমি বীজপুরে ক্ষমতায় এলে এর তিনগুণ উন্নয়ন করে দেখাবো। আর খুব শিগগিরই বীজপুরকে সবাই স্মার্ট সিটি বলে চিনবে। কিন্তু তবুও আমি নিজেকে বীজপুরের উন্নয়নের কান্ডারী বলে প্রচার করব না। আমি একটাই কথা বলব, এই বীজপুর তথা এই পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের কান্ডারী আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি যখন প্রচার করতে যাই তখন মানুষের কাছে একটাই কথা বলি, আপনি আমাকে দেখে নয়,আপনি ওই ৬৫ বছরের পরিশ্রমী মহিলাকে দেখে ভোট দিন,আপনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে ভোট দিন। এর আগের বিধানসভা নির্বাচনে আপনারা যাকে বিশ্বাস করে ভোট দিয়েছিলেন, সে তো আপনাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আপনাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে তিনি তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ শুধু বাড়িয়েছেন। কিন্তু মানুষের কি উন্নয়ন হয়েছে? এতদিন যা উন্নয়ন হয়েছে সব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারণে হয়েছে। তিনি তো নিজের গ্যাঁটের কড়ি খরচা করে উন্নয়ন করেননি। তবে হ্যাঁ তিনি নিজের উন্নয়ন করেছেন কাটমানি খেয়ে। তাইতো তিনি নিজেকে উন্নয়নের কান্ডারী বলেন। কিন্তু মানুষ সবই চোখে দেখছেন, বুঝতে পারছেন। সেসব কথা আমি আর বলতে চাই না। আমার এখন একটাই উদ্দেশ্য, বীজপুরকে সারা ভারতবর্ষে স্মার্ট সিটি হিসেবে উপস্থাপন করা। তাই আপনাদের কাছে আমার করজোড়ে নিবেদন আপনারা আমাকে একটিবার সুযোগ দিন, আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করুন। তখন আপনারাই দেখতে পাবেন আমি বেশি বাজে বকি না। আমি একজন ব্যবসায়ী আর আমি উন্নয়নের ভাষা বুঝি।”

এর পাশাপাশি তিনি এও বলেন,”গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর যেভাবে এই অঞ্চলে গেরুয়া বাহিনী তান্ডব করেছিল,তাতে সাধারণ মানুষের ক্ষতি তো হয়েছিলই আর ক্ষতি হয়েছিল ব্যবসায়ও। কারণ বাইরে থেকে মানুষ এই অঞ্চলে ব্যবসা করতে আসতে ভয় পাচ্ছিলেন। কিন্তু সেই পরিস্থিতি আর আমরা তৈরি হতে দেবো না। আমি কথা দিচ্ছি বীজপুরে আর কোন অশান্তি সৃষ্টি হবে না এবং এই অঞ্চলের ও বাইরের ব্যবসায়ীরা সুন্দরভাবে ব্যবসা করতে পারবেন। কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ব্যবসায়ীদের কোন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। সেইসঙ্গে আমরা জোর দিচ্ছি অঞ্চলের আইন ব্যবস্থা এবং মহিলা সুরক্ষা নিয়ে। আইন স্বাধীনভাবে আইন অনুযায়ী কাজ করবে। অন্যদিকে বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হবে।”