রবি ঠাকুর ও তালগাছ
তমাল সাহা

তুর রবিঠাকুরের কাণ্ডকাইরখানা বুঝা বড় দায়! আর কুনো গাছ পাইলে না! তালগাছ!
এক পায়ে কেউ দাঁড়াইবার পারে?
আর কি কইরেই বা আকাশে উঁকি মাইরবে, ওটা কি জানালা বুটে?
কালো মেঘ ফুঁইড়ে যায়,
আকাশের তারা গুলানের দিকে তাকইন থাকে–তুর তালগাছের কি চোখ আছে!
অমন আলতু ফালতু ইচ্ছাটো করলেই হল্যো?
মুরও তো ইচ্ছা পেট ভইরে ভাত খাই,
ইদিক উদিক পানে চইলে যাই, তা কি হয়?

তালগাছের পাতাগুলান নাকি ডানা হইবার চায়!
মুর মাথাতেও তো কত্ত ঝাঁকড়া চুল
হাওয়া বাতাসে কালবৈশাখী ঝড়ে উইড়তে থাকে। মুদের মনে তো অত্ত আকাশে উইড়ে যাইব্যার কল্পনা হয় না!
তুর রবি ঠাকুর কি ইসব জানে না?
উল্টাপাল্টা ভাইবলেই হল্যো!

হাওয়া থেইমে গেল আর তুর তালগাছের ইচ্ছেটোর বারোটা বেইজে গেল।
রবিঠাকুর উকে আকাশ থেকে দড়াম কইরে ফেইলে দিল। তালগাছ ইখন ইচ্ছেটোর লাথি খেইয়ে বুইলছে, ই মাটিই মুর মা, পৃত্থিবীটাই মুর ভালো!

তু ইতো জানিস
মুদের কাছে তালগাছ কত্ত ভালো!
তাল বেইচ্যে দুটো পয়সা মুদের ঘরে আসে।
তালগাছের তাড়ি খেইয়ে মোরা ক্ষুদা ভুইলে থাকি।

অত্ত বড় পণ্ডিত রবিঠাকুর কি ইসব জানেন না?
ও তালগাছটোকে গল্পের গরু বানাইয়ে আকাশে উড়াইন দিলে!