অবতক খবর,১২ জুলাইঃ ত্রাসে-সন্ত্রাসে গাঙ্গেয় উপত্যকা ছিল পরিপূর্ণ।‌তারপর রক্ত মাখল গায়ে। তারপর ভোরবেলা পর্যন্ত ৪৬টি লাশ নিয়ে উঠে দাঁড়ায়। রক্তমাখা হাতে শাসক ছিনিয়ে নিল জয়। গাঙ্গেয় উপত্যকায় ছুটছে বাতাস,তারও হা-হুতাশ। সে বলে চলেছে সন্ত্রাস ! সন্ত্রাস!

স্ব-ঘোষিত যুবরাজ। জানিয়ে দিয়েছিল এটি নবজোয়ার। মানুষও ভেবেছিল তাই, এটা বুঝি তারুণ্যের জোয়ার। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে জনসংযোগ, না জন বিয়োগ কেউ জানে না, দিনরাত প্রচার। আসলে ক্ষমতা ধরে রাখতে হবে আমাদের, ফিরে আসতে হবে আবার। যুবরাজ বলেছিল,এটা গণতন্ত্র। সকলের সমান অধিকার। কেউ নমিনেশন জমা না দিতে পারলে আমি দায়িত্ব নিচ্ছি বিরোধীদের নমিনেশন পত্র জমা নেওয়ার। বড় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশা দিয়েছিলেন। আশা দিয়েছিলেন জেল খাটা সেই মহান মুখপাত্র। আশা দিয়েছিলেন সেই স্বাস্থ্যবতী মন্ত্রী। ভোট জনগণের উৎসব। এখন গ্ৰাম বাংলার প্রান্তরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মানুষের শব। তাহলে রাজনৈতিক নেতাদের কথার দাম কোথায়? মানুষের চেয়ে বড় কি ক্ষমতা? এত জনপ্রকল্প, সামাজিক প্রকল্প, এত ব্যথী,সমব্যথী–এত সব শবযাত্রার প্রকল্প,এত অনুদান,এত লক্ষ্মীর ভান্ডার,তা সত্ত্বেও সন্ত্রাস পরিপূর্ণ এই ভোট কেন? ভোট কেন্দ্রে যাওয়া থেকে শুরু করে ভোট দেওয়া পর্যন্ত এবং ভোট গণনা পর্যন্ত কেন এত ব্যাপক সন্ত্রাস? জিততেই হবে?

পঞ্চা,রে পঞ্চা! পঞ্চায়েতে এত মধু? কোটি কোটি টাকা একটি পঞ্চায়েত পেয়ে থাকে,সেই পঞ্চায়েত এখন কামাইক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।‌ ভারতবর্ষের বৃহত্তম গণতন্ত্র মহত্তম বলে পরিচিত। মহত্তম মানে কি? মানুষকে খুন, মানুষের রক্ত। নির্বাচন কমিশন কাকে বলে? নির্বাচন কমিশনার কাকে বলে? যিনি কমিশন খান তিনি কি কমিশনার? রাজ্য প্রশাসন কাকে বলে? রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কাকে বলে? এরা কি মানুষ মারার ষড়যন্ত্রী?