অবতক খবর, সংবাদদাতা, বহরমপুর ::  পূর্বাভাস ছিল কারণ কড়া পদক্ষেপ এর হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি ও সাংসদ আবু তাহের খান হল তাই শুরু হয়ে গেল মুর্শিদাবাদ জেলা সভাধিপতি মোশারফ হোসেনকে ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া তার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গত মঙ্গলবার থেকেই এই 22 সরকারি দেহরক্ষীকে সরিয়ে দিলো জেলা পুলিশ কেন তার দেহে রক্ষীদের তুলে নেওয়া হল। এই প্রশ্নের উত্তর নেই খোদ জেলা সভাধিপতি মশাররফ হোসেনের কাছেও। তিনি জানান তার নিরাপত্তায় যে দুজন দেহরক্ষীকে মোতায়েন করা হয়েছিল সেটি সকাল থেকে আসেননি।

মোশারফ হোসেন জানান সকাল থেকে পুলিশের কোন আধিকারিকরা তাকে জানাননি কেন তার 2 নিরাপত্তা রক্ষীদের সরানো হলো। তিনি বলেন এর উত্তর হয়তো জেলার পুলিশ সুপার দিতে পারেন।জেলা পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার কে ফোন করা হলে তিনি এর কোনো উত্তর দেননি। বিরোধীরা মনে করছেন যে পার্টির ওপর তলার থেকে, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে, গ্রিন সিগন্যাল পাওয়ার পরেই হয়তো জেলা পুলিশ এই দুই দেহরক্ষীকে তুলে নিয়েছে।

অন্যদিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান বলেন যে দাদার তিনি অনুগামী তার কোনো নিরাপত্তা রক্ষী লাগেনা, যখন তখন নিজের বাহিনী নিয়ে দাদা চুপিসারে যখন তখন যে কোন জায়গায় চলে যান তাই তার অনুগামীরা হয়তো একই পথের পথিক। তিনি বলেন হয়তো গোপনে গোপনে কোথাও যেতে এই সরকারি নিরাপত্তা রক্ষীরা বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাই তিনি নিজেই হয়তো নিরাপত্তারক্ষীর প্রয়োজন বোধ করছেননা।

জেলা সভাপতি আবু তাহের খান জানান জেলার তৃণমূল অটুট আছে থাকবে যদি কেউ তৃণমূলকে ক্ষতি করার চেষ্টা কবে বা ভাঙার চেষ্টা করলে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করে তাহলে তাকে আমরা ছেড়ে কথা বলব না উচিত শিক্ষা দিয়ে ছাড়বো তিনি বলেন শুভেন্দু বাবু ক্ষমতা থাকলে দল ত্যাগ করুন, আর সরাসরি ময়দানে আসুন।এই দলে থেকে দলের ক্ষতি করা জেলার তৃণমূল কিছুতেই মেনে নেবে না।

জেলা সভাপতি আবু তাহের খান এর কাছে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের ভবিষ্যতের ব্যাপার জানতে চাইলে তিনি পরিষ্কার জানান এনিয়ে দলের ভেতরে আলোচনা হয়েছে বৈঠক হয়েছে। রাজ্য নেতাদের এই সম্পর্কে জানানো হয়েছে। তারা কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন সেদিকে আমরা তাকিয়ে রয়েছি। খুব শীঘ্রই ফয়সালা হবে অপেক্ষা করুন।