রাজীব মুখার্জী :: অবতক খবর :: হাওড়া ::    কেন্দ্রে বিজেপির সরকারের প্রথম বর্ষপুর্তি উপলক্ষে জনসাধারণকে লেখা প্রধানমন্ত্রীর চিঠি নিয়ে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার দুপুর বেলায় মধ্য হাওড়ার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ৭৫ নম্বর বুথ থেকে তিনি ওই সম্পর্ক যাত্রা শুরু করেন। টিপটিপ বৃষ্টির মধ্যেই তিনি দলের অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ওই চিঠি বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেন।

এদিন তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে সারা বছরই তারা জন সম্পর্ক চালিয়ে যান। তবে বিজেপি সরকারের দ্বিতীয় দফার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরতে তারা এই কর্মসূচির আয়োজন করেছে। যাতে মানুষের উল্লেখযোগ্য সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। এদিকে মুকুল রায়ের রাজ্য সরকারের করোনা মোকাবিলা নিয়ে প্রশংসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কে কার প্রশংসা করেছেন সেটা তার জানা নেই। তবে এই রাজ্যে সামাজিক দূরত্ব থেকে শুরু করে ন্যূনতম সাবধানতা কোনটাই মানা হয়না। ঠিকঠাক মানা হয়না লকডাউনও। সেইজন্য সংক্রমণ বেশি।

তিনি আরো দাবি করেন, তার দলের সমস্ত কর্মীরই গুরুত্ব আছে। মুকুল রায়কে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয়েছে। মুকুল রায়ের সঙ্গে বিজেপির দূরত্বের কথা অস্বীকার করেন দিলীপ ঘোষ।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমশ নিন্মমুখি পেট্রোল-ডিজেলের দাম। যদিও এই দেশে দাম আপাতত কমেনি। এ প্রসঙ্গে দীলিপবাবু জানান, আমাদের দেশে তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামের ওপর নির্ভরশীল। এর আগে যখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে ছিল তখন দেশেও ৩ টাকা তেলের দাম কমানো হয়েছিল।

এখন আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে তাই দেশে তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। তবে এ বিষয়ে তেল কোম্পানিগুলো নিজেদের মতো করে দাম ঠিক করেন। রাজ্যে ক্রমাগত বাড়তে থাকার সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, তার ব্যক্তিগত মত রাজ্যে লকডাউন বাড়ানো উচিত।

দেশের সব মুখ্যমন্ত্রী দের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক প্রসঙ্গে বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শুধু ভাষণ দেন যাতে খবরে থাকেন। তাই ওনার গোঁসা হয় ওনাকে কম বলতে দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি তিনি আরো দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেও যান না আর বিরোধীদেরকেও আলোচনার জন্য ডাকেন না।