অবতক খবর , সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় , পূর্ব মেদিনীপুর :- করোনার মতো বৈশিক মহামারি জীবন,জীবিকা,অর্থনৈতিক দিক দিয়ে মানব সভ্যতায় ব্যপক পরিবর্তন এনেছে। কাজ হারিয়েছে বহু মানুষ,বন্ধ সমস্ত মেলা,আর এর উপর নির্ভর করে যাদের রুজি রুটি তার মধ্যে অন্যতম পটশিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। তাদের অর্থনৈতিক বেহাল দশার মধ্যে আশার আলো করোনা ঠেকাতে তাদের শিল্পও সামিল।পূর্বমেদিনীপুর জেলার চন্ডীপুর ব্লকের হবিচক,নারানচক এলাকায় বহু মানুষের রুজি রোজগার বলতে উপায় ছিলো পটশিল্প। মেলায় মেলার এই শিল্পর মাধ্যেমে পেট চলতো তাদের।দীর্ঘ লকডাউন করোনা ভাইরাসের ফলে সমস্ত মেলা বন্ধ,কবে খুলবে তারও ঠিক নেই।

কিছু সাহায্য পেয়েছে কিন্তু তা নিয়ে কতদিন চলবে,তাই তার বিকল্প আয়ের পথ হিসাবে করোনা ঠেকাতে তৈরী করতে শুরু করে মাস্ক্। ভয় ছিলো কতেটা তারা সফল হবে,প্রথমে ১০-১৫ জন মিলে শুরু করে এই কাজ, পটচিত্র অঙ্কিত মাস্ক্ গুলো ব্যাপক চাহিদা হয়। এলাকা, এলাকার বাইরে ভিনরাজ্যে গুজরাট,দিল্লী,মহারাষ্ট্র,হায়দ্রাবাদে পাড়ি দিচ্ছে এই মাস্ক্। এমন কি এই সুন্দর পটচিত্র মাস্কের চাহিদা বিদেশ থেকে আসছে। এলাকার শিল্পীরা তাদের মাস্ক্ বিদেশে পাঠাতে উদ্যেগী হয়েছে। পটশিল্পের বিকল্প পথ ধরে কোনরকম সংসার চলছে কয়েশ পরিবারের,শুধু রাজ্যসরকার একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে এযাত্রায় বেঁচে যাবে পরিবার গুলো।
পূর্ব মেদিনীপুর থেকে সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়