মানচিত্র ও বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস
তমাল সাহা

ম্যাপের বাংলা মানচিত্র কেন, এই প্রান্তিকবেলা এসেও আমার বোধগম্য নয়।
ভারতবর্ষের মানচিত্রের মান যে অমূল্য তা আমাকে বাবা বুঝিয়েছিলেন ছোটবেলা থেকে।
শোনো, এত মনীষী এত বলিপ্রদত্ত বিপ্লবী আর কোনো দেশে জন্মাননি, এটা তুমি জেনে রেখো।

বাবা ছাড়া তো শেখানোর মানুষ আমি তেমন বোধ করি পাইনি কোনোদিন।
বর্ণপরিচয় তো তিনি শিখিয়েছিলেন সঙ্গে জাগাতে চেয়েছিলেন মানবিক বোধ।
তিনি বলেছিলেন, পার্টিবাজি দলবাজি এসব দিকে নজর দেবে না তুমি, যেখানে মানুষের রাজনীতি মানুষের কথা সেখানেই জন। তার কথা ভাববে সেখানেই জন্মভূমি।

জনতার সঙ্গে মানে মানুষজনের সঙ্গে তুমি সহজেই মিশে যেতে পারবে। তার সঙ্গে গণ জুড়ে দিলে সেটি হবে অনেক বড়।
তুমি ছোট মাপের মানুষ যতটা সম্ভব সেটাই তুমি নিজেই উপলব্ধি করো তার বেশি একদম তুমি না দৌড়িও।

বিশ্ব অনেক বিশাল ব্যাপার। তুমি ছোট্ট মানুষ ছোট্ট করে নিজের দেশটাকে মনে রেখো। আপনি বাঁচলে বাপের নাম মানে আন্তর্জাতিক বিষয়ের দিকে চোখ রেখো কিন্তু নিজের দেশের পাশেই থেকো।

বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস!
শোনো, একথার মানে নেই কোনো।
আলো নেই কোথাও সর্বত্র অন্ধকার তুমি আলোকচিত্র তুলবে কি করে? দক্ষিণ-মহাসাগরের উপকূলে ভারতবর্ষের দিকে তাকিও।

এখানে তেমন চিত্রই খুঁজে পাবেনা তুমি।
স্বাধীনতা শব্দটি বানান এবং উচ্চারণ করা খুবই কঠিন।
পেটে ভাত নেই হাতে কাম নেই সাতাত্তর বছর ভারতবর্ষ স্বাধীন।

আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। মধ্যরাতে দেশের বুকে চালানো হলো করাত, আমরা দ্বিখন্ডিত।
জল জমি জঙ্গল বেচে দিচ্ছে তোমার দেশনেতারা।
দেশজুড়ে এখন ধর্ষণ ও আগুনের কেরামতি, বুলডোজারের রাজনীতি।
যত প্রকল্প ভাণ্ডার তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভিক্ষাবৃত্তি।
কোন চিত্র তুলে তুমি প্রদর্শন করবে মানুষকে চারিদিকে হাহাকার আকুতি।

মায়ের হাতে ধরিয়ে দিয়েছি বাটি, কোলে তার শিশু চাইছে ফ্যান
দারুণ ছবি! বিশ্বআলোকচিত্র দিবসে!
দামি ক্যামেরা হাতে, তোলো হে ক্যামেরাম্যান!