অবতক খবর,১২ অক্টোবর: রাষ্ট্র,সরকার,শাসক, ক্ষমতা বনাম করোনা লড়াই চলছে গাঙ্গেয় উপত্যকায় শারদ মহিমায়। কত তাড়াতাড়ি করোনা আরও বিস্তার লাভ করতে পারে তার জন্য রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছে। প্যান্ডেল বিশাল করে, থিম না ভাবনা উসকে

মানুষের আকর্ষণ বাড়িয়ে করোনা বাঘিনীর হাতে মনুষ্যরূপী ছাগলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ধর্মে,পুজোয়, হিন্দুত্ববাদে উৎসবভাতা ৫০ হাজার। শোর মাচাও, দুর্গোৎসবে মন্ডপ বানাও,থিম লাগাও, ভিড় দাও, করোনা লাও। পশ্চিমবঙ্গের বাতাসে এখন এই স্লোগান। ‌কলকাতা কাহার রাজধানী? শাসকের না ঘাতকের? চেতনাহীন প্রধান, মণ্ডপে মণ্ডপে চক্ষুদান এবং একের পর মণ্ডপে গিয়ে ফিতে কেটেছেন পুজোর মহিমার নাচন কোঁদন! ফলত পুজো উস্কানি পেয়েছে এই করোনাকালে।

শহরতলিতে এবার পুজো ছোট, মণ্ডপও ছোট। কলকাতা তিলোত্তমা, জন কলরবে উৎসাহে আতিশয্যে ফুটে উঠেছে। নেতারা সেখানে মাতব্বরি এবং পুজো মারাচ্ছে।

তৃতীয়া থেকেই মানুষের ঢল, রে করোনা! আমার সঙ্গে চল। সেখানে মহালয়ার দিন থেকেই রাজ্যপ্রধান সশরীরে মন্ডপ উদ্বোধন করেছেন, যেখানে পারেননি, সেখানে ভার্চুয়ালে পুজো উদ্বোধন হয়েছে। কাঁচরাপাড়ার কোন্ পল্লীতে নাকি ভার্চুয়াল উদ্বোধন হয়েছে। ‌মাইকে তার পাঞ্চজন্য বাজছে।

শ্রীভূমি কার পুজো? বুর্জ খলিফা কি? ভিড়ে নাকি দশ গোল দিয়ে দিয়েছে শ্রীভূমি লোক টেনে। ‌হাকিম সাহেব হুকুম জারি করেছেন, সুজিতের নাকি এত বড় পুজো করা ঠিক হয়নি। ‌ চেতলা অগ্রণীর মাতব্বর কে? একডালিয়া এভারগ্রীনের নেতা তো সেই বারবার রং পাল্টানো বহুরূপী নেতা। ‌নাকতলার উদয়ন সংঘর পরিধির মধ্যে শিক্ষা চেতনা আচ্ছন্ন কোন মন্ত্রী রয়েছেন? কোন মন্ত্রী রয়েছেন সুরুচি সংঘে?

নিজের অঞ্চলে শনিবার ভবানীপুর ৭৫ পল্লীতে গিয়ে প্রধানা বলেই ফেললেন, কত পরিশ্রম ঘেমে নেয়ে ১০০-রও বেশি মন্ডপ উদ্বোধন করলুম,কেউ এক কাপ চাও খেতে বলেনি। তাই নিজের পাড়ায় নিজের পল্লীতে এসে তোমরা যে চায়ের নেমন্তন্ন করেছো, তাতে আমি খুব খুশি। ‌

পুজো চলছে প্রতিদিন সংবাদপত্র অন্যান্য মিডিয়ায় দেখাচ্ছে ভিড়ের ছবি। কোন প্যান্ডেলে কত ভিড় হয়েছে সেটাই এখন উল্লেখযোগ্য। ৫০ হাজার টাকায় উৎসব- ভাতা পুজো আস্কারা পাচ্ছে,পুজো চলছে ভিড় বাড়ছে করোনা উঁকি মারছে। সে ছড়িয়ে দেবে তার জীবাণু সোস্যাল মিডিয়ায় তার জীবাণু ভাইরাল হয়ে যাবে।

এদিকে রাজ্যের শহরতলির হাসপাতালগুলিতে জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে শয়ে শয়ে শিশু ভর্তি। হাসপাতালগুলির চিত্র দেখলে গা শিউরে উঠছে।