অবতক খবর: সংসদে গোটা বাদল অধিবেশন থেকে নির্বাসিত করা হল আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংকে। মণিপুর ইস্যুতে রাজ্যসভায় অন্যান্য বিরোধী সাংসদদের সঙ্গে তিনিও সরব হয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে সাসপেন্ড করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়।

বিরোধীদের হইহট্ট-গোলের জেরে কিছু সময়ের জন্য অধিবেশন মুলতুবিও হয়ে যায়। সাংসদকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ধনকড়ের সঙ্গে বৈঠকেও বসেন বিরোধীরা। কিন্তু ঘণ্টাখানেক বৈঠকের শেষে ওয়াকআউট করেন বিরোধী সাংসদরা। ফলে গোটা অধিবেশনে আপ সাংসদের সাসপেনশনের সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে।


প্রসঙ্গত, মণিপুর ইস্যুতে সংসদের দুই কক্ষে বিবৃতি দিন প্রধানমন্ত্রী। এই দাবি তুলে সোমবার সকাল থেকেই চাপ বাড়িয়েছে বিরোধী শিবির। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সংসদ ভবনের বাইরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্না শুরু করে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিকরা। হাজির ছিলেন তৃণমূল সাংসদরাও।

এদিনের ধর্নাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলের প্রায় সব সাংসদকেই দেখা গেল হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান তুলতে। মণিপুরে হিংসা-অশান্তির ইস্যুতে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুসারে সোমবারের মধ্যে দিল্লি পৌঁছেছেন তৃণমূল সাংসদরা। সংসদ ভবনের বাইরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশ দেখা গেল সকলকেই।

ইন্ডিয়া’র এই অবস্থান বিক্ষোভের নেতৃত্বে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি সকলকে রণকৌশল বুঝিয়ে দেন। বিরোধীদের মূল দাবি একটাই, লোকসভা ও রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রীকে মণিপুর নিয়ে বিবৃতি দিতে হবে।