অবতক খবর,৩০ জুলাই,বিরাটী : মনিপুরের ন্যাক্কারজনক ঘটনার কোন প্রতিকার পদক্ষেপ কেন্দ্রের সরকার করেনি। ৪মে ঘটনার ৭৮ দিন পরে ৩৬ সেকেন্ডের বিবৃতি দিয়েছেন সংসদের বাইরে প্রধানমন্ত্রী।মোদি সরকার চুপ থেকে মহিলাদের হিন্মত কে আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। প্রতিকারের প্রশাসনিক কোন ও পদক্ষেপ নেননি।তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস পথে নেমেছে এর প্রতিবাদ আন্দোলনে। প্রতিবাদ শপথে সোচ্চার তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা।মনিপুরের নিশংস নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র সোচ্চার তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস।মহিলাদের লজ্জাজনক জায়গায় পৌছানো হয়েছে দাবি রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ।রবিবার দুপুরে উত্তর দমদম পুরসভার ২০ নং ওয়ার্ডের উড়ালপুলের নীচে রাজ্যের তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী তথা অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ঐকান্তিক উদ্যোগে দমদম উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা হাতে কালো কাপড় বেঁধে বিভিন্ন প্লাকার্ড ফেস্টুন নিয়ে মনিপুরের ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদী শপথ ও প্রতীকী মিছিল করে মোমবাতি জ্বালিয়ে একে অপরের দৃঢ় সংকল্প করে ঐক্যবদ্ধ হলেন। মন্ত্রী শপথ বাক্য পাঠ করান তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের।বলেন আমরা মহিলারা ঐক্যবদ্ধ ।মনিপুরে মহিলাদের উপর নির্মম নির্যাতনের বিহীত চাই। প্রধানমন্ত্রীর মৌনতার জবাব চাই। সংসদে তার বিবৃতির দাবী করছি। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের প্রতিবাদ চলবে। মেয়েদের আছে হিন্মত। জোটবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম চলবে এই আমাদের শপথ।মন্ত্রী বলেন ১১০ দমদম উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের কর্মীবৃন্দ শপথ নিলেন মনিপুরের যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে তার বিরুদ্ধে কেন্দ্রের মোদী সরকার পদক্ষেপ না নিলে প্রতিবাদ আন্দোলন চালিয়ে যাব। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি সংসদে তার বিবৃতি দেবেন। সংসদ চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী ঘটনার ৭৮ দিন পরে ৩৬ সেকেন্ডের বিবৃতি দিয়েছেন সংসদের বাইরে।এই লজ্জার ঘটনার কোন ও প্রশাসনিক প্রতিকার পদক্ষেপ নেননি।মনিপুরের ঘটনা ঘটনাই।কেন্দ্রের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম ঘুরছে।লজ্জার কোন প্রতিকারের পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি। বিজেপির যদি কেউ আঘাত প্রাপ্ত হয় সেটা ও যেমন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা মারা গেলে সেটাও তো ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং হওয়া উচিত। অপরাধকে কোন দল সমর্থন করে না। দেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী বামনগোলার ঘটনা নিয়ে পুলিশ কে শোকজ করেছেন। মনিপুরের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদক্ষেপ নিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন শুধুমাত্র রাজনৈতিক দিক থেকে বলছি না। একজন মহিলা হিসেবে বলছি বিজেপি বা সিপিএমের কর্মী দের এই ভাবে কোন মহিলা অত্যাচারিত ধর্ষিত হলে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস প্রতিবাদে সোচ্চার হবে।মনিপুরের নিশংস নারকীয় ঘটনা নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠছে বিরোধীরা বলছেন বাংলায় কি হচ্ছে রাজস্থানে কি হচ্ছে তাহলে কি বলতে চাইছেন মনিপুরের হল। প্রধানমন্ত্রীকে হুশিয়ারি দিয়ে মন্ত্রী বলেন মোদিজী মনে রেখো যে হাতেদোলনা দোলায় সেটা কিন্তু দুর্বল মনে কোরো না। মোদিজী রিমেম্বার ইট। প্রধানমন্ত্রী বলতে পারবেন মন কি বাত। কিন্তু শুনবেন না। তার ধৈয্য ইচ্ছা শক্তি নেই। মনিপুরের পর উত্তরপ্রদেশের মীরাটে একই ঘটনা। ধীক্কার জানাই ন্যাক্কারজনক জঘন্য ঘটনার। প্রধানমন্ত্রী মূক ও বধির হয়েছেন। মন কি বাত শোনেন না। ধৈর্য্য ইচ্ছা নেই। তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস একমাস ধরে পথে নেমেছে মহিলাদের নৃশংস নারকীয় অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনে। উপস্থিত ছিলেন উত্তর দমদম ও নিউ বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস, প্রবীর সাহা, ভাইস চেয়ারম্যান লোপামুদ্রা দত্ত চৌধুরী, স্বপ্না বিশ্বাস সহ উত্তর দমদম ও নববারাকপুর পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের তৃণমূল মহিলা কাউন্সিলর গন।এক ঘন্টার ওপর চলে প্রতীকী প্রতিবাদী মিছিল শপথ বাক্য পাঠ।