নিজস্ব সংবাদদাতা : অবতক খবর :      কিছুদিন আগে মহারাষ্ট্র জানিয়েছিল তাদের ভ্যাকসিন শেষ হয়ে আসছে। এবার সেই একই কথা উঠল হাওড়াতে। জেলার একাধিক হাসপাতালে স্টক ফুরতে শুরু করেছে করোনা ভ্যাকসিনের। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সূত্রে জানানো হয়েছে, জেলা ভ্যাকসিন স্টোরে আর মাত্র তিনদিনের পরে কোনও ভ্যাকসিন নেই। তা জেলার মধ্যে ইতিমধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন জেলায় মোট কুড়ি হাজার ভ্যাকসিনের প্রয়োজন। কিন্তু তিনদিনের পরে কিভাবে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলবে সেই বিষয়ে তিনিও ধোঁয়াশাতেই রয়েছেন।

তবে জেলাগুলির স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে যে ভ্যাকসিন পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে তা কিন্তু নয়। সেখানেও ভ্যাকসিনের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে বলে খবর। ইতিমধ্যে সূত্রের খবর কলকাতা , হুগলি সহ বেশ কিছু জেলাতে এখনই ভ্যাকসিনের আকাল শুরু হয়েছে। বিধাননগর কেন্দ্রীয় স্টোরেও নেই ভ্যাকসিন। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রকে যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন পাঠানোর কথা লিখিতভাবে জানিয়েছে রাজ্য। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে ভ্যাকসিন যদি দ্রুত না পাঠানো হয় তবে রাজ্যের পরিস্থিতি সঙ্গীন হবে।
তিনি আরো জানান, জেলার ২৩২ টি কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন কুড়ি হাজার লোককে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা স্টক আছে তাতে বড়জোর আর দুদিন ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই প্রতিদিন কুড়ি হাজার হিসেবে তারা রাজ্য সরকারকে রিকুইজিশান দিয়েছেন। জেলায় প্রায় একশো আশি জন করোনা আক্রান্ত চিকিতসাধিন রয়েছেন।ফলে ভ্যাক্সিনের আমদানী যদি না হয় তাহলে  সমস্যা আরো বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।

এদিকে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে জেলার পরিস্থিতি। আক্রান্তের নিরিখে হটস্পট কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনার পরে হাওড়ার পরিস্থিতি এখনও একটু উদ্বেগজনক। হাওড়ায় এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩৮ হাজার ৪১২ জন। এই পরিস্থিতিতে করোনা ভ্যাকসিনের ঘাটতি প্রশাসনের কপালে ভাঁজ ফেলেছে।

তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়। মহারাষ্ট্র, রাজস্থান অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিসগড়, তেলাঙ্গানা সহ একাধিক রাজ্যে ভ্যাকসিন ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে খবর। ভ্যাকসিন ঘাটতির কারণে মহারাষ্ট্রের বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে টিকাকরণ। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দাবি, দেশে যথেষ্ট পরিমাণ টিকা রয়েছে। রাজ্যগুলি অহেতুক প্যানিক সৃষ্টি করছে।