অবতক খবর,১৯ জুনঃ ভৌগলিক অবস্থানটুকু বাদ দিলে, কামারহাটি রথতলার রথযাত্রা ধারে ও ভারে প্রায় পুরীর রথের সমকক্ষ। তাই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এই রথযাত্রাকে তুলে আনতে চান রাজ্যের প্রথমসারির রথযাত্রার পংতিতে।

২০০ বছরের প্রাচীন ইতিহাস।

রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বেলঘরিয়ার রথ তলার মতিলাল সেন ঠাকুরবাড়ির রথ দর্শনে এসেছিলেন সেই সময়।

সেই মতিলাল সেন ঠাকুরবাড়ির রথ একসময় বন্ধ হয়ে যায়।

বেলঘরিয়া নিবাসী এক মহিলা ছোট্ট একটি লোহার রথ দেন বেলঘরিয়ার স্থানীয় একটি ক্লাবে। আড়িয়াদহ রথ তলা থেকে দেড় ফুটের জগন্নাথ দেব সেই রথে চড়েই রথের দিন মাসির বাড়ি যেতেন। সেই রথ আজও চলে বেলঘরিয়ার রথতলায়। তখন থেকেই বসত রথ তলার এই অতি প্রাচীন রথের মেলা।

পুরীর মন্দিরের দালান থেকে  চার ফুটের আনা জগন্নাথ আজ তিনি হেভি ওয়েট। ওজন প্রায় আড়াইশো কেজি। এই রথ তলার জগন্নাথ দেবের রথের কাঠ এবছর এসেছে গন্ধমাধভ পাহাড় থেকে। ৩৩ ফুট উচ্চতার এই তিন রথ চেপে এবছর রথ তলা থেকে মাসির বাড়ি ফিরবেন হেভিওয়েটের জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা। এবছর দু টনের উপর ফুলের সাজে সাজবেন জগন্নাথ। রথের আগের দিন বেলঘড়িয়া রথতলার জগন্নাথের নবযৌবন দর্শন।

রথতলা কমিটি সূত্রে পুরীর রথ যে কাঠ দিয়ে তৈরি হয়, সেই শাল,অসন এবং ধৌরা কাঠ দিয়েই বেলঘড়িয়ার রথতলার রথ তৈরি করা হয়। একেবারে পুরীর রথের আদলে শাল,অসন এবং ধৌরা কাঠ দিয়ে এই রথ তৈরি করতে সময় লাগে টানা তিন মাস। পুরীর রথ তৈরি করতে যে পরিমাণ কাঠ থাকে বা যে মাপের কাঠ দিয়ে তৈরি হয় তার থেকে বেশি উচ্চতার  বেলঘড়িয়ার রথ তৈরি করা হয়  বলে রথতলা কমিটির দাবি।

ভোগে থাকে নানা পদের আয়োজন পোলাও খিচুড়ি সাদা ভাত থেকে পটলের দোরমা এঁচোড়ের তরকারি পনিরের তরকারি আরো বিভিন্ন রকমারি পদ।

বাইট সোমনাথ রায় চৌধুরী সম্পাদক বেলঘড়িয়া রথতলা জগন্নাথ মন্দির।