অবতক খবর : ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্যতম বিধানসভা ভাটপাড়া। পরপর চারবার ভাটপাড়ায় তৃণমূলের হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন বর্তমান বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। কিন্তু ২০১৯-এ পালাবদলের সময়ে বিধায়ক পদে আসীন হয়েছেন অর্জুন পুত্র পবন সিং।

তবে আসন্ন নির্বাচনে ভাটপাড়া বিধানসভা নির্বাচন ক্ষেত্রে প্রার্থীর দৌড়ে রয়েছেন-
১.বর্তমান বিধায়ক পবন সিং,
২.প্রিয়াঙ্গু পান্ডে,প্রদেশ নেতা,
৩.সন্তোষ কুমার সিং,
প্রাক্তন জেলা সচিব, ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা।
৪.উমা শঙ্কর সিং,প্রাক্তন সভাপতি, ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা।

পবন সিংঃ-
মজবুত দিকঃবিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং-এর পুত্র,পিতার রাজনৈতিক উত্তরাধিকার,পিতা পরপর চারবার এই সিটেই বিধায়ক,দাদুও বিধায়ক ছিলেন,কাকা পার্ষদ ছিলেন,কাকাতো ভাই চেয়ারম্যান ছিলেন,যুব এবং নির্মল মুখ,উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রকে হারিয়েছেন।

দুর্বল দিক: বিজেপির পরিবারতত্ত্ব।

প্রিয়াঙ্গু পান্ডেঃ-
মজবুত দিকঃভারতীয় জনতা যুব মোর্চা প্রদেশের কার্যকরী সদস্য,নবদ্বীপ জোনের দায়িত্বরত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবেয়ের সাথে পারিবারিক সম্পর্ক (এখনও পদ স্থগিত),ভাটপাড়ার রাজনৈতিক জলবায়ু সম্পর্কে সচেতন,রমনবমি দাঙ্গা মামলায় কারাগারে গেছেন, যুব মুখ, বাংলার চাণক্য মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ,উদ্যমী বক্তা।

দুর্বল দিক:বিজেপি সাংসদের দল থেকে বাইরে,দলের একটি গোষ্ঠী তার বিরোধী, ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক গ্রাফ।

সন্তোষ সিংঃ-
মজবুত দিকঃএকসময়ে সাংসদ অর্জুন সিং-এর ঘনিষ্ঠ,ভাটপাড়ার প্রথম বিদ্রোহী যিনি বিজেপিতে যোগ দিতে তৃণমূল ছেড়েছিলেন, শক্তিশালী সংগঠনটি, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ,রাজ্য সম্পাদক ফাল্গুনি পাত্রের সহযোগী, মুকুল রায়ের সাথে সুসম্পর্ক,সর্বশেষ উপনির্বাচনে পবন সিং-এর সাথে কঠোর পরিশ্রম করেছেন,তরুণ মুখ, ব্যারাকপুর জেলার সম্পাদক।

দুর্বল দিক: সাংসদ বিরোধী মুখ, দুর্বল টিম ওয়ার্ক।

উমা শঙ্কর সিংঃ-
মজবুত দিকঃ বহুবার বিজেপির জেলা সভাপতি,পুরনো বিজেপি নেতা,ভাটপাড়ার প্রাক্তন সম্ভাব্য প্রার্থী,প্রখর বক্তা।

দুর্বল দিক: প্রবীণ নাগরিক, দুর্বল টিম ওয়ার্ক, লবি থেকে দূরে।