নূর ফজল,গৌতম,বাবাইদের কালীপুজোয় পাত পেড়ে খিচুড়ি

অবতক খবর,৪ নভেম্বর: ঘন শব্দটি কি ক্রমাগত ঘন হতে হতে ঘনিষ্ঠ হতে থাকে? অমাবস্যা ঘন হয়ে এলে অন্ধকার রাত্রির গভীরে সম্প্রীতির বিশাল আয়োজন ভাংচুরের কাশীপুরে। আলো নিয়ে জ্বলে ওঠে ভাঙরের হিন্দু- মুসলিম অধ্যুষিত কাশীপুর। মহাকালীর হাতের খড়্গ ফেলে দিয়ে গ্রামের মানুষেরা মায়ের বরাভয়ের হাতটি তুলে ধরে মইদুল, মান্নান, দীপক, আলোক, বাপীদের দল এক হয়ে যায়। ভাঙ্গরের কাশীপুরের কালীপুজোয় জন জমায়েত– হিন্দু মুসলমানের ঢল।

কৃষ্ণচন্দ্র রাজার সেই আমল থেকে প্রচলন এই কালীপুজোর। কালী তখন মাটির ঘরের মেয়ে। ‌খড়ের চালায় তার বাস। মহাকালী পুজো মানেই মহাপ্রসাদ। গভীর রাতে ঘন অন্ধকারে কালীপুজো। কালো মেয়ে, কালো রাত। তাকে পূজা করে ধর্মহীন জাতহীন মানুষ– সম্প্রীতির এক মেলাকাত। পুজো শেষে হিন্দু মুসলমান মিলেমিশে পাত পেড়ে পেট পুরে খায় খিচুড়ি প্রসাদ কাশিপুরের কালীপুজো।

কাশীপুরের কালীপুজো মানেই নাংলা,সাতডাইয়া , পোলেরহাট, নওয়াবাদ, মঙ্গলপুর ছেলেগোয়ালিরা মানুষেরা মানে জন মোলাকাত। এই মন্দির হিন্দুর প্রার্থনা, মুসলিমের মানতে একাকার হয়ে যায়। কাশীপুরের কালীবাড়ির কালীপুজো ভাঙরের ১৫-২০টি গ্রামকে একসঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছে সংহতির বন্ধনে। ফলত আর কোনো বারোয়ারি কাল পুজোই হয় না এই অঞ্চলে।

অন্ধকার নিশীথে ছাগ বলি ও মন্ত্রোচ্চারণে পুজো ও প্রীতি একাকার করে হৈমন্তিক

বাতাস সম্প্রীতির মাঙ্গলিক সংবাদ বহন করে নিয়ে বঙ্গোপসাগরীয় উপকূলে।