অবতক খবর,২৯ এপ্রিল, অভিষেক দাস, মালদা:- মালদহে গাজোল ও মানিকচকে ছ’কোটি টাকার ভাঙনরোধের কাজ শুরু। শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে কাজের সূচনা করলেন রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। মালদহের গাজোল ও মানিকচকের তিনটি এলাকায় ১২৫০ মিটার ভাঙন রোধের কাজ শুরু করছে রাজ্য সেচদপ্তর। গাজোলের চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডোবাখোকসান এলাকায় টাঙ্গন নদীর ডানপাড়ে ৫০০ মিটার ভাঙনরোধের কাজ হবে।

গাজোলের বৈরগাছি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওয়ানী এলাকায় মহানন্দা নদীর বামপাড়ে আরও ৫০০ মিটার ভাঙনরোধের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে মালদহের মানিকচকের চৌকিমীরজাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত কাঞ্চনতলা এলাকায় আরও আড়াইশো(২৫০) মিটার ভাঙ্গনরোধের কাজ এদিনই শুরু করা হয়েছে।

এদিন সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানিয়েছেন, মালদহের রতুয়া, মানিকচক ও বৈষ্ণবনগরে ভাঙ্গন প্রতিরোধের বহু টাকা ব্যয় হলেও অনেক ক্ষেত্রেই কাজ টেকসই হচ্ছে না। এজন্য রাজ্যের সেচদপ্তর উচ্চপর্যায়ের প্রযুক্তিগত সমীক্ষা চালাবে। বিশেষজ্ঞ দল মালদহের এই তিনটি ব্লকের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে দেখবেন, কোথায় সঠিক কি পদ্ধতিতে কাজ হলে তা দীর্ঘমেয়াদী সুফল দেবে। মালদহের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদেও ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় সমীক্ষা চালাবে রাজ্য সেচ দপ্তরের এই বিশেষজ্ঞ দল। এদিন প্রকল্পের কাজের সূচনা করে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই ভাঙনরোধে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তোলেন রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। একইসঙ্গে বিজেপির সাংসদ ও স্থানীয় বিধায়ককে কার্যত তুলোধোনা করেন রাজ্যের মন্ত্রী। বলেন, ভোটে জিতে জনপ্রতিনিধি হবো আর এলাকার মানুষের স্বার্থে কথা না বলে চুপ করে থাকবো, তা চলবে না। বাপের বেটা হয়ে থাকলে এলাকায় ভাঙ্গনের সমস্যা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তুলে ধরতে হবে।

মালদহের গাজোলে যে এলাকায় এদিন ভাঙনরোধের কাজের সূচনা হয় সেখানে ১৯৮৭ সাল থেকে দফায় দফায় ভাঙন সমস্যা চলছে। গ্রামের কয়েকশো পরিবার ভাঙ্গনের মুখে বারবার ভিটেমাটি হারিয়েছেন। ২০১৭ সালেও ভয়াবহ নদী ভাঙ্গনের সাক্ষী হয় গাজোলের চাকনগর পঞ্চায়েতের এইসব এলাকা। অবশেষে রাজ্য সরকার ভাঙনরোধের প্রকল্প হাতে নেওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।