অবতক খবর,১৩ এপ্রিলঃ ভলিবলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খেলার স্বীকৃতি পেয়েও আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরেনি পরিবারে।এসবেস্টারের ভাড়া বাড়িতে বড় হওয়া চাঁপদানীর সুষমা সাওয়ের।ছোট বেলা থেকেই খেলার প্রতি ভালোবাসা তার।পরিবারে বাবা মা ও দুই বোন নিয়ে সংসার।বাবা দীনেশ কুমার সাও জুটমিল শ্রমিক।মা সেলাই করে দুই মেয়ের লেখাপড়া ও খেলার খরচ কোন ক্রমে চালাচ্ছে।সরকারি বা অন্য কোন সাহায্য কিছুই পায়নি।মেয়ের ইচ্ছা বড় ভলিবল খেলোয়াড় হওয়া।তাই বাবা মা দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে যাচ্ছে দুজনে।

যদিও সুষমা চার বছর হল ভলিবল খেলছে।তার মধ্যে গুজরাটে ন্যাশনাল,খেলো ইন্ডিয়াতে সিলভার ও গোল্ড মেডেল এনেছে।এছাড়াও এশিয়ান ভলিবল চ্যাম্পিয়ান শিপের ইন্টার ন্যাশনাল খেলাতে অংশ নিয়েছে।খেলার সঙ্গে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে সুষমা।আগামীদিনে সরকারি সাহায্য পেলে রাজ্য ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে সে।সুষমার মায়ের আক্ষেপ বিহারী সমাজে দুই মেয়েকে বড় করা খুব কঠিন।পরিবারে খেলার জন্য মেয়ের সরকারি চাকুরী হলে কিছুটা লাঘব হয় তাদের।সুষমার আগামিদিনে আশা রাজ্য ও দেশের হয়ে ভালো খেলা।একটা চাকুরী হলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়।

চাঁপদানী পৌরসভার 11 নম্বর ওয়ার্ডের সুষমা ও তার পরিবার জনবসতি পূর্ন ভাড়া বাড়িতে থাকে তারা।চাঁপদানী আর্য বিদ্যাপীঠ দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়া শোনা করেছে।পরে এক কোচের সহায়তায় ব্যারাকপুরে একটি বেসরকারি স্কুলে খেলার সুবাদে ইংরাজিতে অনার্স নিয়ে পড়ছে।প্রথম দিকে সে পড়াশোনাই করত।দিদি ভলিবল খেলা দেখেই 15 বছর বয়সে ভদ্রেশ্বর ইউনাইটেড অ্যাথলেটিক ক্লাবে প্রাকটিস শুরু করে।প্রথমে দুটি জুনিয়র খেলে ।পরে 2022 সালে গুজরাটে ন্যাশনাল খেল রূপপদক জেতে ও কাজকিস্থান এশিয়ান চ্যাম্পিয়ান শিপ খেলেছে সে।এবছর মধ্যপ্রদেশে খেলো ইন্ডিয়ায় স্বর্ণ পদক নিয়ে আসে ।তার

কোচ হিসাবে পার্থ দাস ও সোমা দাস দুজনেই সুষমা কে সাহায্য করে।পার্থ দাস বলেন সুষমার খেলার প্রতি ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা ছিল।অনেকটাই সফলতা পেয়েছে।কিন্তু অনেক প্রাকটিস করতে হবে।অবাঙালি মেয়ে হয়েও সুষমা লড়াই টা খুব কঠিন।আগামী দিনে ইন্ডিয়ার হয়ে খেলতে পারবে।খেলার ক্ষেত্রে খাবারের প্রয়োজন।বাবা জুটমিল শ্রমিক মাঝে মধ্যেই জুটমিল বন্ধ হয়ে যায়।পরিবারে আর্থিক সমস্যা রয়েছে।বর্তমানে খেলার জন্য কর্মসংস্থান বলে কিছু নেই।এই সময় চাকুরী ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী কাছে আবেদন পুলিশ ও অন্যান্য জায়গা খেলার জন্য চাকুরীর ব্যবস্থা করলে এই সব আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মেয়েদের খুব উপকার হয়।