অবতক খবর,সুমিত,১৬ এপ্রিল,কলকাতা: আসানসোল লোকসভা আসন কোনও দিনই জেতেনি তৃণমূল। বামেদের থেকে বিজেপি হয়েছে এই আসন। ১৯৮০,১৯৮৪ সালে কংগ্রেস জিতেছিল।
কলকাতা ভরসা সেই সংগঠনই। তার উপরে ভরসা রেখেই শনিবার বিধানসভা ও লোকসভা দুই উপনির্বাচনের লড়াই জিতে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে দুই কেন্দ্রেই তৃণমূল দাঁড় করিয়েছিল দুই তারকা প্রার্থীকে। লড়াইয়ে ছিলেন এমন দুই প্রার্থী যারা একটা সময় বিজেপিতে ছিলেন। দু’জনেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন ৷ বিজেপি ছেড়ে আসা এই দুই প্রার্থীকে দিয়েই বাজিমাত করে দিল রাজ্যের শাসক দল। ফলে আগামি কয়েক দিন নজরে থাকবেন শত্রুঘ্ন সিনহা ও বাবুল সুপ্রিয়।
আসানসোল লোকসভা আসন কোনও দিনই জেতেনি তৃণমূল। বামেদের থেকে বিজেপি হয়েছে এই আসন। ১৯৮০,১৯৮৪ সালে কংগ্রেস জিতেছিল। তার বহু আগে আরও একবার জিতেছিল কংগ্রেস। নয় তো বরাবরের জন্য এই আসন ছিল বামেদের দখলে। এর পর আসন দখল করে বিজেপি। ২০১৪ ও ২০১৯ সালে দোলা সেন, মুনমুন সেনের মতো প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন, দু’বারই বাবুল সুপ্রিয়ের কাছে। সেই বাবুল এ বার দল বদল করে বালিগঞ্জে তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী। বাবুল অবশ্য নিজের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। বিজেপি সঙ্গ ত্যাগ করে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। যা মনে করিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বাবুল তাঁর মেরুদণ্ড সোজা রেখেছেন ৷ সেই বাবুল বালিগঞ্জে লড়াই করছেন।
ভোটের আগের দিন অবশ্য হালকা মেজাজেই ছিলেন তিনি৷ যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন এই ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দেবাশিষ কুমারের সঙ্গে। দিনভর কথা বলেছেন ইলেকশন এজেন্ট থেকে বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা কাউন্সিলরদের সঙ্গে ৷ অর্থাৎ ভোটে জেতার ব্যাপারে প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি। কারণ সেই সাংগঠনিক দক্ষতা। বাবুলের আগের পরিচয় অর্থাৎ বিজেপির সময়ের ইস্যুকে হাতিয়ার করে বিরোধীরা তার বিরুদ্ধে প্রচার চালালেও। বাবুলের সবচেয়ে বড় ভরসা সেই তৃণমূলের সংগঠন। প্রায় ৭৩ হাজার ভোটে জিতেছিলেন প্রয়াত প্রাক্তন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এছাড়া পুর ভোটেও সব ওয়ার্ডে কার্যত ভাল ফল করেছে জোড়া ফুল শিবির। বাবুল নিজেও প্রায় ২০ হাজার ভোটে জিতলেন। যেখানে ভোট পড়েছে মাত্র ৪১%।