অবতক খবর,১৮ ফেব্রুয়ারি: বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে কে টিকিট পাবে তা নিয়ে এখনো সকলের মধ্যে একটা ধন্দ রয়েছে। তবে যে বিধায়ক এবং সাংসদরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করছিলেন, তাদেরকে দলও থামাতে পারেনি। সাংসদ চুপ করলেও মুখ বন্ধ হয়নি বিধায়কদের। তবে বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতৃত্বরা অর্জুন সিং-এর পক্ষেই ছিলেন। তারা অর্জুনের হয়ে বলেছেন,”যতই বিরোধীতা করা হোক না কেন,অর্জুনকে আটকানো যাবে না। বর্তমান নেতৃত্বরা তাঁকে আটকাতে পারবেন না। অর্জুন হলো পুরনো চাল,যা ভাতে বাড়ে। সিপিএমের আমলে তাঁকে কেউ হারাতে পারেনি। আর এখন কে হারাবে! হয়তো দলের অনেক নেতারাই তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন, কিন্তু কোন লাভ হবে না।”

এদিকে দলের পুরনো নেতৃত্বরা ধরেই নিয়েছেন বর্তমান সাংসদ অর্জুন সিং-ই টিকিট পাচ্ছেন। বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ চলছিল তা অনেকটাই থমকে গেছে। কেউই আর কোনরকম মুখ খুলছেন না। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে,যিনি এই লোকসভা থেকে টিকিট পাচ্ছেন তিনি ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। বুথ লেভের কাজ হোক কিংবা এজেন্টদের নিয়ে কাজ,সমস্ত কাজই তিনি শুরু করে দিয়েছেন।

আপনাদের জানিয়ে রাখি, কিছুদিন আগেই একটি বৈঠক হয়ে গেছে,যেখানে একাধিক উচ্চ নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকে দলের এক প্রাক্তনকে বলা হয়েছে যে, দায়িত্ব তোমাকে দেওয়া হবে কিন্তু তোমাকে যেভাবেই হোক জেতাতে হবে। কারণ বিজেপি হারানোর প্রবল চেষ্টা করবে। আমাদের দলে থেকেও কিছু লোক বিরোধীদের হয়ে কাজ করবে,কিন্তু তুমি এক ঘাটের জল খাও। এদিক ওদিক করে কোন লাভ হবে না। ওদিকে গেলে বড় জোর তোমাকে ব্যবহার করবে এবং কিছু দেবে না।

এই কথার পর ওই প্রাক্তন রাজি হয়েছেন এবং বলেছেন,হ্যাঁ,আমরা রাজি এবং দ্রুত কাজ শুরু করে দিচ্ছি।

এইরকম বৈঠক একাধিক জায়গায় সংঘটিত হচ্ছে। সেখানে কিছু কিছু কাউন্সিলররাও যাচ্ছেন। তবে সেখানে বিশ্বাসযোগ্যদেরই ডাকা হচ্ছে। অনেকে এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা কঠোরভাবে আটকানো হচ্ছে।

ভাটপাড়া,নোয়াপাড়া, বীজপুর, হালিশহর, নৈহাটি,আমডাঙা,জগদ্দল সহ সমস্ত বিধানসভায় চলছে বৈঠক। যার মধ্যে দুটি বিধানসভায় ইতিমধ্যেই মিটিং সম্পন্ন হয়েছে। বিভিন্ন অভাব অভিযোগ সহ অন্যান্য আলোচনা চলছে এই বৈঠকে। দুপক্ষের কথাকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

তবে এই বৈঠকগুলি আগামীতে কতটা ফলপ্রসূ হবে এবং যারা প্রকাশ্যে আসছেন না,তারা প্রকাশ্যে এলে এই শাসকদলের রাজনীতি কোনদিকে মোড় নেবে,তা তো সময়ই বলবে।