অবতক খবর,২৫ ডিসেম্বর: আজ বড়দিন। যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন। জেলায় অর্থাৎ এই ব্যারাকপুর মহকুমায় বিজেপির শুভ দিন আসন্ন কিনা কে জানে? ব্যারাকপুর মহকুমায় এই উত্তর ২৪ পরগণা জেলায় বিজেপি দল একটা বিশৃঙ্খলা অবস্থায় পরিণত হয়েছে। ‌ বর্তমান জেলার সভাপতি এক কালে তৃণমূলপন্থী রবীন ভট্টাচার্য্য আইনজীবী হলেও বিজেপি দলকে এই জেলায় দ্রুততার সঙ্গে সংগঠিত করতে পারেননি। বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করা, কর্মীদের উৎসাহিত করা,এ ব্যাপারে তিনি কোনরূপ দক্ষতার প্রমাণ দিতে পারেননি। ‌উপরন্তু পুরনো বিজেপি কর্মীদের তিনি উপেক্ষা করেছেন বলে দলীয় কর্মীরা অভিযোগ জানিয়েছেন।

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর এই জেলায়
বিজেপি কর্মীরা যেভাবে নিগৃহীত হয়েছেন, তাদের পক্ষে তিনি তেমন উপযুক্ত ভূমিকা পালন করতে পারেননি। দীর্ঘকাল ধরেই তার বিরুদ্ধে কর্মীদের ক্ষোভ, বিক্ষোভ সংবাদমাধ্যমে, পোর্টাল মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে।‌অনেক পুরনো বিজেপি কর্মী তার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন।‌ফলত এবার বোধহয় বিজেপির উচ্চ নেতৃত্বের টনক নড়েছে। তারা সেই পুরানো বিজেপি সংগঠক সন্দীপ ব্যানার্জীকে জেলা সভাপতি পদে আসীন করেছেন।‌ অর্থাৎ রবীন ভট্টাচার্য্যকে হটিয়ে সেখানে সন্দীপ ব্যানার্জীকে সাংগঠনিক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

‌সন্দীপ ব্যানার্জী একজন পোড়খাওয়া বিজেপি কর্মী বলে রাজনৈতিক সূত্রে জানা গেছে এবং বিজেপি কর্মীরাও তাই মনে করেন। তিনি পূর্বেও এই জেলার সভাপতি ছিলেন। উল্লেখযোগ্য ভাবে ২০১৮-র উপনির্বাচনে নোয়াপাড়া কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী সুনীল সিং এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময়ে তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং সাংগঠনিকভাবে লড়াই চালিয়েছিলেন। বিজেপি কর্মীরা মনে করেন সংগঠক হিসেবে এই জেলায় সন্দীপ ব্যানার্জীর একটি বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এবার তাঁর এই সাংগঠনিক ভূমিকাকে বিজেপি দল স্বীকৃতি দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে এবং সন্দীপ ব্যানার্জীকে আবার জেলা সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে। এটি যে বিজেপি দলের পক্ষে অত্যন্ত বাস্তব সম্মত এবং কার্যকরী সিদ্ধান্ত তা ফেসবুকে বিজেপি কর্মীরা যেভাবে সন্দীপ ব্যানার্জীকে অভ্যর্থনা,সাবাস ও অভিনন্দন জানাচ্ছেন তার মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে।