অবতক খবর,২৬ আগস্ট: সোশ্যাল মিডিয়া, সংবাদপত্র এবং অন্যান্য মিডিয়ায় প্রচারিত হচ্ছে ‘ভারত জ্বালাও পার্টি’ বেছে দিচ্ছে দেশ। সমস্ত কেন্দ্রীয় পরিচালিত সংস্থা তো বেচে দিচ্ছেই, কিন্তু আপামর মানুষের যে সম্পত্তি, প্রাকৃতিক সম্পদ, জল-জমি-জঙ্গল-পাহাড়-খনি বেচে দিচ্ছে ‘ভারত জ্বালাও পার্টি’র রাষ্ট্র।

ভারতবর্ষে যেন দুই পার্টির লড়াই চলছে। এদিকে ‘টাকা মারি চলো’ পার্টি রাজ্যকেও প্রায় বেচে দিচ্ছে বিভিন্ন পরিকল্পনা মারফত। ‌ মিথ্যাচারিতায়, দুর্নীতিতে বেচে দিচ্ছে দেশ, বেচে দিচ্ছে রাজ্য।

কারোনাকালীন পরিস্থিতি,লকডাউন চলছে। কিন্তু দুর্নীতি এবং কামাইবাজি স্তব্ধ নেই। এখন যেন নতুন স্লোগান উঠেছে “বেচে দে, বেচে দে, কাঁচরাপাড়া বেচে দে!”

স্কুল, রাজ্য সরকারের জমি,রেল জমি, বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে কামাইবাজি চলছে। সূত্রের খবর একটি স্কুলের উন্নয়ন প্রকল্পের ২ কোটি টাকা গায়েব হয়ে গেছে। ‌প্রশাসনিক এবং রাজ্যস্তরে স্কুল কর্তৃপক্ষ সমস্ত কিছু জানিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও তার কোনো সুরাহা হয়নি। এ ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাও জানা যায়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ ওয়েবসাইটে এই প্রচারটি দিয়েছিলেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে,ওয়েবসাইট থেকে তারা সেটি তুলে নিয়েছেন। কোন জাদুগরের অদৃশ্য হাত এতে খেলা করছে কে জানে? ‘টাকা মারি চলো’ পার্টির একটি গোষ্ঠী এর বিরোধিতা করছে। তারা জানিয়েছে যে, এইসব বিষয়ে, অর্থাৎ এই যে একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টাকা– গায়েব হয়ে গেল কোটি কোটি টাকা,তার ব্যাপারে কোন সংবাদ ব্যাপকভাবে প্রচারিত হচ্ছে না। ‌ অঞ্চলের রাজনৈতিক নেতৃত্বকেও এ বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তদন্ত করার জন্য, তারাও নীরব,নিশ্চুপ রয়েছেন। ম্যানেজিং কমিটির নিশ্চুপ। কমিটিতে নাকি শিক্ষা জগতের মানুষও রয়েছেন।

অন্যদিকে ৫নং ওয়ার্ডে ফিসারি জমিতে উঠছে বিল্ডিং।
২৩নং ওয়ার্ডে রবীন্দ্রপল্লী তে পুকুর বুঝিয়ে চলছে ঘর নির্মাণ। লক্ষ লক্ষ টাকার খেলা চলছে।

বিবেকানন্দ কি চেয়েছিলেন আমরা কি জানি না! নতুন ভারতবর্ষ গড়তে তিনি বলেছিলেন, মুচি মেথর গরিবের কুটির থেকে, শ্রমজীবীর কুটির থেকে নব ভারত বেরিয়ে আসবে।তিনি এটি চেয়েছিলেন। তিনি কোনো মার্কেট তৈরি করতে চেয়েছিলেন কিনা জানিনা। তাঁর নামে মার্কেট হয়ে গেছে। তিনি কোন মার্কেটিয়ার ছিলেন কিনা জানিনা, তাঁকে মার্কেটিয়ার হিসেবে নিশ্চিত সম্মান দেওয়া হয়েছে।

একটি রেলের জমিতে মন্দির ছিল,সেটি হটিয়ে সেখানে দোকান হল। সেই বিষয়ে প্রতিবাদ করার পর সেখানে আবার নতুন করে মন্দির হচ্ছে। ‌ অদ্ভুত রকম একটি প্রক্রিয়া চলছে এখানে।

শাসক শ্রেণী বুঝতেই পারছে না এই সমস্ত কার্যকলাপ জনসমক্ষে চলে আসছে। আগামী নির্বাচনে এর প্রতিফলন দেখা দেবে। ফলত একটা নতুন স্লোগান জনগণের মধ্যে নীরবে উচ্চারিত হচ্ছে “বেচে দে, বেচে দে, কাঁচরাপাড়া বেচে দে!”

রাজনৈতিক এবং গেস্টাপো বাহিনীর ভয় মানুষকে গ্রাস করেছে যে তারা সোচ্চারে কথা বলতে পারছেন না। ‌ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজ্যের জমি, কেন্দ্রের জমি তো কি? কোনো ভয় পাচ্ছে না কামাইবাজরা। ‌

আরোও জানা যাচ্ছে যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল পরিচালককেও হটিয়ে দেবার একটি চক্রান্ত চলছে।