অবতক খবর,২ জানুয়ারি : বৃহস্পতিবারও শুনানি হল না অনুব্রতর মামলার। একবার নয়, পর-পর বেশ কয়েকবার দিল্লি হাইকোর্টে পিছিয়ে গেল বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মামলার শুনানি। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত। এই আদালতের রায়ের ওপরেই নির্ভর করছে, অনুব্রতকে ইডি দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে কি না। সেই মামলার শুনানি বার-বার পিছিয়ে যাওয়ায় অনুব্রতকে আপাতত দিল্লি যেতে হচ্ছে না। যে বিচারপতির বেঞ্চে মামলা চলছে, সেই বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মা ছুটিতে থাকায় বৃহস্পতিবার শুনানি হল না। তবে অনুব্রতর আইনজীবীরা জানিয়েছেন, বিচারপতি জয়রাম ভাম্বানির বেঞ্চে তাঁরা জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানাতে পারেন।

দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারে। সেই মতো তোড়জোড়ও শুরু হয়। কিন্তু রামপুরহাটের এক তৃণমূল কর্মীর করা পুরনো অভিযোগের ভিত্তিতে অনুব্রতকে আচমকা গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। ফলে দিল্লি যাওয়া পিছিয়ে যায়। এরই মধ্যে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেন অনুব্রত।

এছাড়া ইডি-র গ্রেফতারির বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত। সেই মামলাও চলছে হাইকোর্টে। বর্তমানে আসানসোল জেলে রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। সিবিআই-এর হাতেই প্রথমে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। পরে ইডি তাঁকে শ্যোন অ্যারেস্ট করে। অনুব্রতর দাবি, তাঁর গ্রেফতারির কোনও নথিপত্র পেশ করা হয়নি।