বিনয় ভরদ্বাজ, অবতক খবর ::  বাংলায় গণতন্ত্রের উৎসবের দিন ক্ষষ ইতিমধ্যেই ঘোষিত হয়েছে । এখন রাজ্যবাসী তাদের নিজের নিজের এলাকায় বিভিন্ন দলের প্রার্থীদের নাম জানতে অধৈর্য হয়ে উঠেছেন। কোন দল থেকে কে প্রার্থী হচ্ছেন, তা জানতে চান সকলে। তবে কেবলমাত্র তৃণমূল তাদের সকল প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করে ফেলেছে বাকি দলগুলো এখনো তাদের প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করতে পারেনি।

গত লোকসভা নির্বাচনের রাজ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছিল বা গুরুত্বপূর্ণ ছিল বা নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি মিডিয়ার নজর কেড়েছে সেটি ছিল ব্যারাকপুর লোকসভা সিট । ব্যারাকপুর লোকসভা সিট, তৃণমূলের নেত্রীসহ একডজন মন্ত্রী-নেতাদের প্রচেষ্টায় জল ঢেলে দিয়ে তৃণমূলের প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদী  কে হারিয়ে জয়ী হন বিজেপির প্রার্থী অর্জুন সিং। অর্জুন সিং এসেই এলাকার সমস্ত পৌরসভাকে এক ঝটকায় দখল করে নেন তৃণমূলের কাউন্সিলরদের দলবদল করিয়ে।

পরে সুবোধ অধিকারীকে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করিয়ে জেলার সাধারণ সম্পাদকের পদে বসান নেত্রী। তার চেষ্টায় একে একে সকল পৌরসভাকে নিজেদের দখলে আনে তৃণমূল। সুবোধ অধিকারী  তৃণমূল এর জন্য পাথর হয়ে ওঠেন। মৃতপ্রায় ব্যারাকপুর লোকসভার তৃণমূলকে ফের দাঁড় করিয়ে দেন । তৃণমূল ফের স্বমহিমায় ফিরে আসে । কোনঠাসা হন অর্জুন সিং। ভাটপাড়া তার নিজের গড়ও ধরে রাখতে পারেনি অর্জুন।

সুবোধ অধিকারী যেভাবে ব্যারাকপুর কে একে একে করে উদ্ধার করে ফেলেন আর প্রায় সমস্ত কাউন্সিলরদের দলে ফিরিয়ে আনেন, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা জানান সুবোধকে। দলে কদর বাড়ে তার। অর্জুন সিং এর পাশাপাশি বিজপুর এর বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় ও তার বাবা মুকুল রায়কে তাদের ঘরেই কোনঠাসা করার জন্য সুবোধ অধিকারী কে ব্যবহার করেন দলের কিছু নেতা। নেতারা ভরসা দেন সুবোধকে বিজপুর থেকে বিধায়ক করে আনবেন। তাই সুবোধকে সাধারণ সম্পাদক এর পাশাপাশি বিজপুর এর দলের চেয়ারম্যান পদ প্রদান করা হয়। সকলের ধারণা তৈরি হয় এবারকার বিজপুরে তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন সুবোধই। স্বয়ং সুবোধ মানুষের ঢল ও ভালোবাসা দেখে নিজেকে এলাকার বিধায়ক হিসেবে দেখতে শুরু করে দেন কিন্তু এখানেই খেলা শুরু……

কি খেলা হল? আদৌ কি বিজপুরে প্রার্থী হচ্ছেন সুবোধ অধিকারী, নাকি তিনিও তৃণমূলের ইনার পলিটিক্সের শিকার? জানতে চোখ রাখুন অবতক খবরের পরবর্তী অংশে- তৃণমূলের ইনের পলিটিক্স, ব্যারাকপুরে কে প্রার্থী কোথায়??