ভালোবাসার দিন। যৌবনের অভিষেকের দিন।
কী চায় সেদিন! কী বার্তা সেদিনের? শুনুন

বিস্তীর্ণ করো ভালোবাসা
তমাল সাহা

প্রস্তাবে আপাত ছিল কিছু লজ্জা।
ইচ্ছে প্রগাঢ় ছিল হৃদয় গভীরে।
শেষ পর্যন্ত নৌকোটি নোঙর বাঁধে
বহমান নদীটির তীরে।

গোলাপ তো ছিলনা প্রস্ফুটিত,
ছিল কুঁড়ি যুক্ত দুটিপাতা,সবুজ।
লাল সবুজে কোন কি সংকেত ছিল,
দুটি যুগ্মচোখ ছিল কি অবুঝ?

স্নিগ্ধ দিন চলে আসে,
ঘন হয়ে আসে উষ্ণতা।
স্পর্শ করো, স্পর্শ করো—
বসন্ত বাতাস শুভ কন্ঠ তাহার,
বলে ওঠে,এ তো শুদ্ধ বারতা।

দূর নিকট হলে সম্পর্ক হয় গাঢ়তর।
কারা কাছে আসে? দেহ ও মন।
কে শেখায় কাকে, জানা ছিল কি আগে
এইসব স্বাগত চুম্বন-আলিঙ্গন!

বসন্ত এসেছে,জাগো পলাশ! কৃষ্ণচূড়া!
পরিপূর্ণ যৌবন ঋতু,
মেনে নেয় কি বাধা নিষেধ আইন?
আরণ্যক মর্মর ভাঙে নীরবতা,
সমুদ্র উত্তাল ঊর্মিমালা
মুক্ত জীবন, শুদ্ধ আনন্দ—
স্রোতস্বিনী আজ ভাগীরথী ভল্গা টেমস রাইন।

কাছে এসো, বাসন্তিকা!
মুক্ত করো বন্ধন,
সমর্পণেই আনন্দ-উজ্জ্বল উদ্বোধন।

বাসন্তিকা! কাছে এসো
হাতে হাত রাখো, অঙ্গীকার করি দুজন
দেখো,এই চরাচর বিশ্বভুবন!
চলো,ছড়িয়ে যাই ভালোবাসার বিছন…