অবতক খবর: লোকসভায় বাদল অধিবেশন চলছে। বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা মণিপুর হিংসা এবং সেখানে ‘নগ্ন প্যারেড’ কাণ্ড নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে অনড়। এমন আবহে লোকসভা ভোটের আগে ‘বিতর্কিত বিষয় এবং মন্তব্য’ থেকে দূরে থাকার জন্য এনডিএর সাংসদদের ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

গত বুধবার উত্তরপ্রদেশের কিছু অংশ, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, কেরালা, পুদুচেরি, আন্দামান ও নিকোবরের বিজেপি এবং সহযোগী দলগুলির সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ— ‘‘বিরোধীরা হতাশাগ্রস্ত”। তাঁরা আপনাদের ফাঁদে ফেলতে চাইবে। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই বিরোধীদের প্ররোচনায় পা দেওয়া যাবে না।’’

প্রসঙ্গত, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে ‘ইন্ডিয়া’র মোকাবিলায় জোট রাজনীতিকেই ‘পাখির চোখ’ করছে বিজেপি। আগামী ৩১ জুলাই থেকে ১০ অগস্ট পর্যন্ত এনডিএর ১১ দলের মোট ৪৩০ জন লোকসভা ও রাজ্যসভা সাংসদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

সূত্রের খবর গত ৩১ জুলাই প্রথম বৈঠকে তিন তালাক বাতিলের প্রসঙ্গটি মুসলিম মহিলা সমাজের সামনে তুলে ধরার কথা বলেছিলেন তিনি। ১ অগস্ট দ্বিতীয় বৈঠকে ‘ইন্ডিয়া’র মোকাবিলায় ইউপিএ সরকারের আমলের দুর্নীতির অভিযোগগুলি তুলে ধরে প্রচারের ওপর জোর দিয়েছিলেন তিনি।

বিজেপি সূত্রের খবর, এর পরের বৈঠক হবে ৮ অগস্ট। মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং গোয়ার ৭৬ জন সাংসদের দু’টি দলের সঙ্গে মোদী বৈঠক করবেন। ৯ এবং ১০ অগস্ট গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, দমন-দিউ এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির এনডিএ সাংসদেরা প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে বিজেপির তরফে ইঙ্গিত মিলেছে।

গত কয়েক বছরে বিজেপির কেন্দ্র এবং রাজ্যস্তরের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্ররোচনা ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ থেকে দলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র (বর্তমানে বরখাস্ত) নুপূর শর্মা পর্যন্ত অনেকেই বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। এই পরিস্থিতিতে মোদীর ‘বার্তা’ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।